শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের কভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। চীনে ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে কভিড পরিস্থিতি। এমন সময় সহায়তার প্রস্তাব দিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। খবর: রয়টার্স।
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাস বাড়ছে। হাসপাতালগুলোয় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। গত মাস থেকে চীনে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন করে কভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর তথ্য তারা দেবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তৃপক্ষ বলছে, তথ্য গোপন করছে চীন।
চীনে সংক্রমণ শনাক্তের জন্য র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবহার চলছে। এ পরীক্ষার ফল কর্তৃপক্ষকে জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। একই সঙ্গে সরকার উপসর্গ থাকা দৈনিক করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে ‘শূন্য কভিড নীতির’ আওতায় চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি ওই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামেন দেশটির অনেক শহরের বাসিন্দারা। এরপর গত মাসের শুরুর দিকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় চীন সরকার। তার পর থেকে দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।
তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হিসেবে দাবি করে চীন। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে তাইপে। দ্বীপটিতে মার্কিন কর্মকর্তাদের আনাগোনা ও সামরিক সহায়তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বেইজিং। এ নিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এ উত্তেজনার মধ্যেও চীনে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেয়া এক বার্তায় সাই ইং-ওয়েন বলেন, চীনে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি সবাই দেখেছে। আমরা মহামারি থেকে মুক্ত হতে আরও বেশি মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ইচ্ছুক। মানবিক চাহিদার ভিত্তিতে আমরা চীনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে ইচ্ছুক, যাতে আরও বেশি মানুষ মহামারি পেছনে ফেলে একটি সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ নতুন বছর কাটাতে পারে। এ অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা উচিত নিজেদের সাধারণ স্বার্থেই এবং এ অঞ্চলের দেশগুলোও এটিই প্রত্যাশা করে।