Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 5:44 pm

চীনা অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীন থেকে আমদানি করা অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্কারোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কমার্স ডিপার্টমেন্ট আমদানি করা অ্যালুমিনিয়ামে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক ৯৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৬৩ শতাংশ করে। নতুন করে শুল্কারোপকে চীন ‘বৈষম্যমূলক’ আচরণ হিসেবে দেখছে। খবর ব্ল–মবার্গ, রয়টার্স।

একদিন পর শনিবার রাতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তকে ‘দৃঢ়ভাবে অসন্তুষ্ট’ বলে উল্লেখ করে ওয়াশিংটনকে ‘ভুল পদ্ধতির’ সংশোধন করতে অনুরোধ জানায়।

শুক্রবারের ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালুমিনিয়াম পণ্য নির্মাতাদের জন্য এক ‘বড় বিজয়’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য অনেকে এতদিন অভিযোগ করে আসছিল, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন স্বল্পমূল্যে ফয়েল বিক্রি করে আসছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে বৃহৎ অর্থনীতির এ দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার পারমাণবিক ইস্যুতে ৩ থেকে ১৪ নভেম্বর ট্রাম্প চীনসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করবেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শিং জিন পিংয়ের সঙ্গে বেইজিংয়ে বৈঠক করবেন ট্রাম্প।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, নতুন করে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপকে কেন্দ্র করে দুই নেতার মধ্যে সম্পর্কের চিড় ধরতে পারে। আবার কেউ বলছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতজানু হয়ে কোরিয়া ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন জানাবে।

কমার্স ডিপার্টমেন্টের ওই ঘোষণায় বলা হয়, নিজ দেশের বাণিজ্য বাড়াতে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হয়। এবার ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ করা হয়। এর আগে গত আগস্টে চীনা অ্যালুমিনিয়ামের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ডিউটিজ ১৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৮০ দশমিক ৯৭ শতাংশ করা হয়।

২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র চীন থেকে ৩৮৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল আমদানি করে। চীন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিøউটিও) নীতিকে উপেক্ষা করছে। আর তারা ডবিøউটিও অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সব শর্ত পূরণ করে বাণিজ্য করছে। ২০০১ সালে চীন বাণিজ্য সংস্থায় যুক্ত হয়।

চীন বিবৃতিতে জানায়, এটা শুধু চীনের কোম্পানি স্বার্থকেই ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, বরং বহুপাক্ষিক নিয়মনীতিকেও উপেক্ষা করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের সঙ্গে তাদের ঘাটতি বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। চীন অবৈধ (আনফেয়ার) বাণিজ্যচর্চা করে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করছে। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব উইলবার রস যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিদের বলেন, চীনের ‘মেধাস্বত্ব’ আইন তদন্ত করা হচ্ছে। যদিও তারা ১৯৬০ সালের বাণিজ্য আইনের ২৩২ সেকশন অনুযায়ী বাণিজ্য করে আসছে।