শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীন থেকে আমদানি করা পণ্যে ছয় হাজার কোটি ডলারের শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে। চীনও পাল্টা শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছে। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন ব্যবসায়ী মহল বিশেষ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা শুল্কারোপের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। খবর চায়না ডেইলি।
গত বৃহস্পতিবার চীনা পণ্যে শুল্কারোপের ঘোষণার আগেই চায়না ডেইলির প্রতিনিধি ওয়াশিংটন ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেনেছেন তাদের প্রতিক্রিয়া। মার্সি, টার্গেট, ওয়ালমার্ট ও বেস্ট বাই’র মতো খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কারোপের কারণে তাদের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাবের কারণে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রিক হেলফেইনও এমন উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। শুল্কারোপ নিয়ে চীন-মার্কিন দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে ইতোমধ্যেই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়তে দেখা গেছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ই-কমার্স ব্যবসায়ী বেস্ট বাই চীনে হুয়াওয়ে টেকনোলজির কোনো পণ্য আর বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে।
অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের পর হুয়াওয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা। গত জানুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল কনজুমার ইলেকট্রনিকস শো’য় (সিইএস) যুক্তরাষ্ট্রের এটিঅ্যান্ডটির সঙ্গে অংশীদারিত্বের প্রত্যাশা করেছিল হুয়াওয়ে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক চাপে এটিঅ্যান্ডটি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসে। এছাড়া ভেরাইজনও হুয়াওয়ে ফোন বিক্রির পরিকল্পনা করছিল। সিইএসে দেওয়া এক বক্তব্যে হুয়াওয়ের সিইও রিচার্ড ইউ জানান, তাদের অ্যানড্রয়েড ফোনের চাহিদা আছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এদিকে মার্সি ফার্নিচারের বিক্রয় প্রতিনিধি জোস ফারমান জানান, তাদের পণ্যের একটি বড় অংশই চীনে তৈরি হয়। শুল্কারোপ হলে এসব পণ্যে অনেক খরচ পড়ে যাবে। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে এবং বিক্রিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ঘণ্টায় ১২ ডলার ন্যূনতম মজুরির শহরে চীনা পণ্যের ওপর শুল্কারোপে অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক স্কুলশিক্ষক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি শুল্কারোপের বিপক্ষে। আমি মনে করি, আমাদের মুক্তবাজারে থাকা উচিত। খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়াশিংটন ওয়েলকাম সেন্টারের ম্যানেজার ডেক্সার মোরস বলেন, আমি জানি না বাণিজ্যযুদ্ধের ফল কী।