শেয়ার বিজ ডেস্ক: ২০০৮ সালের পর ডলারের বিপরীতে রেকর্ড দরপতন দেখল চীনা মুদ্রা ইউয়ান। বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবশেষ ২০১১ সালে হঠাৎ এমন দরপতন হয়েছিল চীনা মুদ্রার। তবে তা ২০০৮ সালের তুলনায় কিছুটা কম ছিল।
মুদ্রার মান কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড মহামারির কারণে অনেকে বিনিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা কারণ দেখানো হয়েছে।
জাপানের বেঞ্চমার্ক নিক্কেই ইনডেক্স বলছে, বর্তমানে ১ ডলার সমান ৭ দশমিক ২৩ ইউয়ান হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ডলারের বিপরীতে গত পাঁচ দশকের মধ্যে রেকর্ড দরপতন হয় ব্রিটিশ পাউন্ডের। যুক্তরাজ্যে পাউন্ডের দর দাঁড়ায় ১ দশমিক শূন্য ৫ ডলার। গত শুক্রবার ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন নতুন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কোয়ার্টেং। যাতে ৫০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ করের হার কমানো হয়েছে। মূলত এর প্রভাব পড়েছে অর্থবাজারে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর এ পর্যায়ে থাকলে আমদানি করা পণ্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে তেল, গ্যাসের মতো জ্বালানির দাম। আর এতে বাজারের অন্যান্য পণ্যেও দেখা যাবে চড়া মূল্য।
একই দিন ডলারের বিপরীতে ইউরোর দরেও রেকর্ড পতন হয়েছে; যা ২০ বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ। করহার কমানোর বিষয়ে ব্রিটেনের নতুন সরকার বলছে, জনগণের জীবনযাপন সহজ করতেই এমন সিদ্ধান্ত।
মুদ্রা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রাবাজারে অন্যান্য মুদ্রার বিরুদ্ধে ভীষণ শক্তিশালী হয়েছে ডলার। ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে উঠেছে মার্কিন মুদ্রার মান। ফলে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের চাহিদা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেড সুদহার বাড়ানোয় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলছেন, এদিন করপোরেট ডলারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। ইউয়ানকে যা চাপে ফেলেছে। বিদেশি ব্যাংকে এক ব্যবসায়ী বলেন, দিনের শুরুতে ডলারের দাপটে অন্যান্য প্রধান মুদ্রা কুপোকাত হয়েছে। ব্যতিক্রম নয় ইউয়ানও।