Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 6:07 pm

এবার মার্কিন পণ্যে চীনের শুল্কারোপ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপের পর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এবার ১২৮টি মার্কিন পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে চীন। এ শুল্কের আর্থিক পরিমাণ হবে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। খবর রয়টার্স।

চলতি মাসের শুরুতে চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন ডলার করারোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বেশ তড়িঘড়ি এ-সংক্রান্ত আদেশে সই করেন তিনি। ওই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করবে বলে আশা করেন ট্রাম্প। চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে মেধাস্বত্ব চুরি করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ধ্বংস করছে চীন।

ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পরই পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল চীন। বেশ ধীরে-সুস্থে, বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত জানাল দেশটি। গতকাল সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া এ সিদ্ধান্ত প্রভাব ফেলবে শূকরের মাংস, ওয়াইনসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ৩০০ কোটি ডলারের আমদানি পণ্যের ওপর।

বেইজিং বলছে, ট্রাম্পের শুল্কারোপের ফলে যে প্রভাব আসবে, সে কথা ভেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘চীনের স্বার্থের সুরক্ষা ও ভারসাম্যের’ জন্য এ শুল্কারোপ করা হয়েছে। এর আগে এক বিবৃতিতে চীনের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছিল, চীন বাণিজ্যযুদ্ধ চায় না। তবে এতে ভয়ও পায় না।

চলতি মাসের প্রথম দিকে বাণিজ্যযুদ্ধের শুরুটা করেন ট্রাম্পই। তার মতে, বাণিজ্যযুদ্ধ ‘ভালো’ এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সহজ’ জয় হবে। প্রথমে ইস্পাতের ওপর ২৫ ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট। লক্ষ্য দেশি শিল্পকে রক্ষা। ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে এবং দেশের বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান ইস্পাত রফতানিকারক দেশ কানাডা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থাও (ডব্লিউটি) ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে। এমনকি নিজ দল রিপাবলিকান সদস্যদেরও সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরে শক্ত অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসে কানাডা ও মেক্সিকোকে বাদ দিয়ে ওই বাণিজ্যনীতি পাস করেন ট্রাম্প। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং জানায়, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে আইনি পদক্ষেপে যাবে তারা। এরপর আবার চীন থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৬০ বিলিয়ন ডলার করারোপের ঘোষণা দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এবার এসব শুল্ক আরোপের জবাব দিল চীন।