চীনের চাপে পিলার অব শেম সরাল হংকং

শেয়ার বিজ ডেস্ক: হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনের তিয়েনআনমেন ঘটনার প্রতিবাদে ‘পিলার অব শেম’ নামে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল চীনের চাপে এ ভাস্কর্য অপসারণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খবর: সিএনএন।

পিলার অব শেমের ভাস্কর ছিলেন ডেনমার্কের জেন্স গ্যালকিওট। তিনি এটি সরিয়ে ফেলার সময় আপত্তি করেছিলেন।

তিয়েনআনমেন স্কয়ারে নিহত গণতান্ত্রিক আন্দোলনকর্মীদের স্মরণ করে ভাস্কর্যটি নির্মাণ করা হয়। বেইজিংয়ে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ১৯৮৯ সালে ছাত্ররা জড়ো হয়েছিল গণতন্ত্রের দাবিতে। কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সে সময় তাদের আন্দোলন দমন করে সামরিক বাহিনী।

আট মিটার লম্বা (২৬ ফুট) ভাস্কর্য এটি। হংকং ব্রিটেনের অধীন থাকার সময় ১৯৯৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়। দুই দশকের বেশি অবস্থানের পর এবার কর্তৃপক্ষ তা সরিয়ে নিল।

কভিড-১৯ মহামারির আগে থেকেই হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থিরা চীনপন্থি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন। ব্যাপক ধরপাকড়ের পর আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়, তবে পুরোপুরি থেমে যায়নি। এসবের মধ্যেই গত অক্টোবরে পিলার অব শেম বা ঘৃণাস্তম্ভ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। গণতন্ত্রকামীরা এটি অপসারণের বিরুদ্ধে ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটি অপসারণ করতে চেয়েছিল।

বুধবার রাতে ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলার প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা প্লাস্টিক দিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। তামার ভাস্কর্যটি সরাতে রাতভর কাজ চালিয়ে যান নির্মাণকর্মীরা। নিরাপত্তারক্ষীরা সাংবাদিকদের কাছে যেতে ও ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেন। পরদিন গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়টি নিশ্চিত করে। তারা জানিয়েছে, ঝুঁকি বিবেচনা করে পিলার অব শেম সরানো হয়েছে। তবে তারা ভাস্কর্যটি সংরক্ষণ করার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে ভাস্কর গ্যালকিওট ভাস্কর্যটিকে ডেনমার্কে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘এটি আমার ভাস্কর্য, আমার সম্পদ।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০