শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯-এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর সাংহাইয়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এই প্রথম মহামারির দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার শহরটিতে লকাডাউন জারি করা হলো। খবর: সিনহুয়া।
এর আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, অর্থনীতির স্বার্থে এই শহর চালু রাখা জরুরি, কিন্তু নিরুপায় হয়ে লকডাউন আরোপ করা হলো।
দুই কোটি ৫০ লাখ মানুষের শহর সাংহাই। এ শহরকে সব সময় লকডাউনের বাইরে রাখা হয়েছে। তবে এবার তাতে ব্যত্যয় ঘটল। এ শহরে প্রতিদিন রেকর্ড কভিড-আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় দুই ধাপে লকডাউন ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাপ সাংহাইয়ের পূর্বাঞ্চলে লকডাউন শুরু হয়েছে গতকাল, যা চলবে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত। আর পশ্চিমাঞ্চলে ১ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এই পদ্ধতিতে শহরের একপাশে লকডাউন ও অন্যপাশ খোলা থাকবে। এ সময় গণপরিবহন, কারখানা ও অফিস বন্ধ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নগরীটির সরকারি পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সংস্থা ও কারখানাগুলোকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার অথবা অনলাইনে কাজ চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কভিড সংক্রমণের নতুন ঢেউ শুরু হওয়ার পর কিছু প্রতিষ্ঠান
সাংহাইয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ রেখেছে। গত সপ্তাহে সাংহাই ডিজনি রিসোর্ট জানায়, মহামারির কারণে পরবর্তী নোটিস না দেয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানায়, গত রোববার দেশটিতে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষের কভিড শনাক্ত হয়েছে। তবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় বেশি নয়। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন কিছু নির্দেশনা জারি করেছে, যার মধ্যে বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার বিষয়টি রয়েছে। এ সময় শহর সার্বিকভাবে বন্ধ রেখে কর্তৃপক্ষ ব্যাপকভাবে করোনা পরীক্ষা করবে। তবে সাংহাইয়ে লকডাউন শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম কমেছে। এ লকডাউনের কারণে চাহিদা পড়ে যেতে পারে এমন উদ্বেগে অপরিশোধিত তেল ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৫০ ডলারেরও বেশি দাম হারিয়েছে। এছাড়া গতকাল পুঁজিবাজারে প্রাথমিক ট্রেডের সময় সাংহাই কম্পোজিট স্টকের সূচকের পতন হয়, কিন্তু দিনের পরবর্তী সময়ে সূচকের ঊর্ধ্বগতিতে বেশিরভাগ ক্ষতি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়।