নিজস্ব প্রতিবেদক:‘মুক্তির জন্য চীনের মতো একটা বিপ্লব গড়ে তুলতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বিরচিত ‘মাও সে-তুঙয়ের দেশে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন। কবি আব্দুল হাই শিকদার এই বই সম্পাদনা করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের মুক্তির একটাই মাত্র পথ আছে সামনে খোলা। সেটা হলো মওলানা ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যাদের অবদান আছে তাদের স্মরণ করে, তাদের পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটাতে হবে। চীনের মতো একটা বিপ্লব আমাদের গড়ে তুলতে হবে। তাতে হয়তো সমস্ত মানুষের মুক্তির পথ হবে না, কিন্তু জাতীয় মুক্তির পথ তৈরি করা হবে।’
‘ক্ষমতাসীনদের শোষণ আর লুণ্ঠনে দেশে দুঃসহ এক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে; যা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে’ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা সাদামাটাভাবে যেটা বুঝি, এখন দুঃসময়, যা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। অস্বাভাবিক, দুঃসহ একটা যন্ত্রণা এখন বাংলাদেশে। এ রকম যন্ত্রণা থেকে মানুষ মুক্তি চায়।’
তিনি বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে শোষণ ছাড়া কিছু নেই। প্রতিটা ক্ষেত্রে শোষণ আর লুণ্ঠন। আগেরকার বর্গীদের মতো এখনও লুটপাট চলছে। এদের একটা একটা করে প্রজেক্ট যদি ধরেন, দেখবেনÑহাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আমরা বলতে পারছি না, লিখতে পারছি না।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের আজ মুক্তির পথটাকে খুঁজে বের করতে হবে। প্রথম যে দরকারটা হচ্ছে আমাদের অধিকারটাকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেই অধিকারটাকে আমরা পরিষ্কার করতে চাই। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। সেই নির্বাচনে যদি যেতে চাই, তাহলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে পাকিস্তানের এত টালমাটাল… এরপরও ওখানে নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। বিচারপতিকে সেখানে কি করা হলো এই বিষয়গুলোকে যদি না ধারণ করি, না বুঝি, তাহলে আমাদের মুক্তি হবে না।’
‘নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশকে বাসযোগ্য করতে হবে’ মন্তব্য করে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘তাদের বাংলাদেশের শোষণটাকে দূর করতে হবে। খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। নতুন চিন্তা আনতে হবে। এখন সমাজতন্ত্রের কথা কেউ বলে না। সমাজতন্ত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। সব চিন্তার এখন পরিবর্তন হতে চলেছে। চায়নাতেও এখন তারা বলছে, কমিউনিজম উইথ চাইনিজ ক্যারেক্টারিস্টিক্স।’ বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট কালচারাল ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন হুমায়ুন কোভিদ ব্যাপারী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।