শেয়ার বিজ ডেস্ক: নিজ দেশে উৎপাদিত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা নিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং অন্য শীর্ষ নেতারা। কভিড টিকাদান ও বুস্টার ডোজের প্রয়োগ বাড়ানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে খবরটি প্রচার করেছে বেইজিং। খবর: বিবিসি।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপপ্রধান জেং ইক্সিন বলেন, সবাই দেশীয় টিকা নিয়েছেন। মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে দেশীয় টিকা ভালোভাবে কাজ করছে। টিকা নেয়ার হার বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। নিজ দেশে করোনার সংক্রমণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে লকডাউনের পাশাপাশি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে আসছে দেশটির সরকার।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, করোনা শনাক্ত শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিকল্প নেই। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চীনে সাড়ে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন।
সাধারণত স্বাস্থ্য তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরে না চীন। অন্য দেশের তুলনায় চীনে কভিড সংক্রমণ ও মৃত্যহার কম হলেও দেশটি কঠোর বিধিনিষেধ অনুসরণ করছে। এমনকি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মহামারি শুরুর দুই বছর পর চীনের বাণিজ্যিক শহর সাংহাইয়েও বিধিনিষেধ দিতে বাধ্য হয় সরকার। এর আগে কর্তৃপক্ষ জানায়, অর্থনীতির স্বার্থে এই শহর চালু রাখা জরুরি, কিন্তু নিরুপায় হয়ে লকডাউন আরোপ করা হয়। তখনও সাংহাইয়ে অনেক মানুষকে একবেলা খেয়ে থাকতে হয়। কেননা তাদের ঘর থেকে বের হতে দেয়া হয়নি। ফলে খাবারও সংগ্রহ করতে পারেননি তারা। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে কাজ হারিয়েছেন অনেকে।
কভিড প্রাদুর্ভাবের সময়, দেশটিতে টিকাদানের নিন্মহার ভাবিয়ে তোলে দেশটির কর্তৃপক্ষকে। তারা জানায়, ষাটোর্ধ্ব মাত্র ৩৮ শতাংশ মানুষ টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, যেখানে আশি বা তদূর্ধ্ব মানুষের মধ্যে ১৫ শতাংশ দুই ডোজ টিকা নিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশজুড়ে ৯০ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন প্রায়ই জানায়, শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আন্তর্জাতিক মানের তুলনায় বেশি নয়।