চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্য আফগানিস্তানের

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জানিয়েছে, তারা বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অধীনে অর্থনৈতিক সম্পর্কের উন্নয়ন করবে। উল্লেখ্য, তিন বছর আগে তালেবান আবার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগানিস্তানের অর্থনীতি ক্রমাগত ধসে পড়ার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়। খবর: এনএইচকে।

জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, আফগানিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র আখুন্দজাদা আব্দুল সালাম জাওয়াদ বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করে এসেছি। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই কাঠামোর মাধ্যমে আমরা চীনসহ পুরো বিশ্বে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হব।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তর আফগানিস্তান ও চীনের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্যপথ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে এবং আফগানিস্তানে উৎপাদিত তেল ও খনিজ সম্পদ রপ্তানি এগিয়ে নেবে।

জাওয়াদ বলেন, আফগানিস্তান তার মধ্য এশীয় প্রতিবেশী দেশ, যেমন তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করবে। এই তিনটি দেশ মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াকে সংযুক্ত করার মধ্যে দিয়ে পশ্চিম আফগানিস্তানে বৃহদাকারের একটি সরবরাহ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তারপর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ স্বীকৃতি দেয়নি তালেবানশাসিত আফগানিস্তানকে। তবে চীন তালেবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিল।

এছাড়া ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশকে সড়ক, রেল, পাইপলাইন, আকাশ ও জলপথে যুক্ত করতে চীনের স্বপ্নের প্রকল্প হলো বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। প্রায় এক দশক আগে শুরু হয় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের এই ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প। আফগানিস্তানে প্রকল্পটি সম্প্রসারণের বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা এর আগেও আলোচনা করেছেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০