শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি করল প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে আধিপত্য বাড়াতে চীন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এই চুক্তি ঘিরে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। খবর: বিবিসি।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনবিনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই চুক্তি কোনো তৃতীয় দেশ বা অঞ্চল লক্ষ করে করা হয়নি। তবে চুক্তির খসড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানান, এই চুক্তির আওতায় চীন সলোমন দ্বীপপুঞ্জে সেনা মোতায়েন করতে পারে। এতে ওই দ্বীপরাষ্ট্রে যেমন অস্থিরতা তৈরি হতে পারে, পাশাপাশি এর মাধ্যমে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার অন্য দেশেও আধিপত্য বিস্তারে নতুন উদ্যোগ নিতে পারে চীন।
একই ধরণের আশঙ্কার কথা জানায়, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও। কয়েক সপ্তাহ ধরে এই চুক্তি ঘিরে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। অস্ট্রেলিয়ার আশঙ্কা, এখানে যুদ্ধজাহাজসহ সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে পারে বেইজিং।
এরই মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে ২০টি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেইজিং। একইভাবে তারা এবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোর ক্ষেত্রেও এগোতে চাইছে বলে মনে করে নিউজিল্যান্ড।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কার্ট ক্যাম্পবেল ও ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্কের সলোমনে যাওয়ার কথা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও সেখানে দূতাবাস খুলতে পারে।
সলোমনের প্রধানমন্ত্রী মানাসেহ সোগাভারে চুক্তিটি সম্পর্কে কিছু জানাতে চাননি। তিনি পার্লামেন্টে বলেন, হোনিয়ারা ও বেইজিংয়ের কর্মকর্তারা ‘কয়েক দিন আগে’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ ঘোষণা দিতে পারাটা ‘সম্মান ও মর্যাদার’।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি করে সলোমন। চীনের সঙ্গে এ চুক্তিকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে করা চুক্তির ‘পরিপূরক’ বলে দাবি করেন সোগাভারে। তবে স্বচ্ছতার অভাব ও চুক্তির বিষয়ে অন্য প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে পরামর্শ না করায় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সমালোচনা করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস পেইন।