Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 12:00 pm

চীনের সঙ্গে সাড়ে ৫৫ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইল লাইন নির্মাণে দুই শতাংশ সুদে পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে এক্সিম ব্যাংক অব চায়না ৫৫ কোটি ৪৪ লাখ ডলার অর্থ প্রদানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার মধ্যে নমনীয় ঋণের পরিমাণ আট কোটি ২৬ লাখ ডলার ও প্রেফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ ৪৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।

গতকাল ঢাকার এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপ লাইন’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নের জন্য চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সমন্বিত উদ্যোগে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এলএনজি, এলপিজি বা কয়লার বহুমুখী ব্যবহার করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সহজ প্রাপ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।

নসরুল হামিদ বলেন, অবকাঠামোগত মহাপরিকল্পনা বা অর্থনৈতিক উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। ডিপিডিসি বা পিজিসিবির প্রকল্প বাস্তবায়নে চীনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ডিপিডিসির প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ঢাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ সৃজন হয়েছে, যেক্ষেত্রে শুধু সরকার-টু-সরকার খাতেই নয়, অন্যান্য খাত থেকেও অর্থায়ন করা যেতে পারে। ‘ডিজাসটার ইনফ্রাস্ট্রাকচার রেসকিউ টিম’ গঠনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি এ খাতে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে এবং অপরিশোধিত তেল আমদানিতে সিস্টেম লস অনেকাংশে কমে যাবে। সার্বিকভাবে বার্ষিক প্রায় এক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।

ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্টে চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা সিংকিয়াং ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আযম স্বাক্ষর করেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমতুল মুনীম উপস্থিত ছিলেন।