Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 1:22 am

চীনের সঙ্গে ২৭৬ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সই

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্মীয়মাণ পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ২৭৬ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার।
গতকাল চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল হক ও চায়না এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুন পিং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের সময় রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপের (সিআরইসি) কর্মকর্তা ও চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের ইকোনমিক কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে জাহিদুল হকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এখন চীনে অবস্থান করছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ভাঙ্গা, নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে অর্থায়নে ২০১৬ সালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের ঢাকা সফরের সময় সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারের কোষাগার থেকে জোগান দেওয়ার কথা। বাকি ২৫ হাজার কোটি টাকা অর্থাৎ ৩১৩ কোটি ৮৭ লাখ ডলার ঋণ দেওয়ার কথা ছিল চীন সরকারের। তবে এখন যে অর্থ দিচ্ছে তা প্রতিশ্রুত অর্থায়নের চেয়ে ১২ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ কম।
এ ঋণের সুদহার দুই শতাংশ। এছাড়া দশমিক ৫০ শতাংশ কমিটমেন্ট ফি ও দশমিক ৫০ শতাংশ ম্যানেজমেন্ট ফি দিতে হবে। ঋণ চুক্তি কার্যকরের সময় ম্যানেজমেন্ট ফি এককালীন পরিশোধ করতে হবে। আর প্রতি বছর যে পরিমাণ অর্থ ছাড় হবে তার অবশিষ্ট অংশের ওপর কমিটমেন্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু চালুর দিন থেকেই রেল চলাচলও উদ্বোধন করবেন তিনি। ওই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ২০১৯ সালে পদ্মা রেল সেতু উদ্বোধন করতে হলে ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করতে হবে। যদিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দেড় বছর পিছিয়ে গেছে প্রকল্পটি।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছিল, মে-জুন মাস থেকে বাংলাদেশে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু করতে হবে। তা না হলে পদ্মা সড়ক ও রেল সেতু একসঙ্গে চালু করা সম্ভব হবে না।