চীনের হামলা থেকে তাইওয়ানকে রক্ষা করবো: জো বাইডেন

চীন হামলা চালালে তাইওয়ানকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা নিয়ে আয়োজিত মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

চীন-তাইওয়ান ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাইওয়ানকে নিজেদের প্রদেশ বলে দাবি করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’

শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অনুষ্ঠানে একজন অংশগ্রহণকারী বাইডেনকে প্রশ্ন করেন, তিনি তাইওয়ানকে রক্ষা করবেন কী না এবং চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে তিনি কী করবেন?

জবাবে বাইডেন বলেন, ‘হ্যাঁ’। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, তারা বেশি শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে ভেবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, ‘চীন, রাশিয়া ও বাকি বিশ্ব জানে, বিশ্বের ইতিহাসে আমাদের সেনাবাহিনীই সবচেয়ে শক্তিশালী।’

উল্লেখ্য, ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ নামে একটি চুক্তি অনুসারে, চীন যদি তাইওয়ানে হামলা চালায় তবে তাইওয়ানকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র সামরিক হস্তক্ষেপ করবে।

এদিকে বাইডেনের এ বক্তব্যের পর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেছেন, ‘বাইডেন তাঁর বক্তব্যে তাইওয়ানের ইস্যুতে নীতি পরিবর্তনের কোনো ঘোষণা দেননি। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে পরিবর্তন আসেনি।’  

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, ‘তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই আইনের অধীনেই আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব। তাইওয়ানের আত্মরক্ষাকে আমরা ধারাবাহিকভাবে সমর্থন করে যাব। চীনের একতরফা আচরণের আমরা বিরোধিতা করে যাব।’

এদিকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাইডেনের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘চীন তাঁর মূল স্বার্থ রক্ষার ইস্যুতে কোনো ছাড় দেবে না।’

বেইজিংয়ে চীনের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক যেন মারাত্মক অবনতির দিকে না পৌঁছায় এবং তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা যেন বজায় থাকে এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিষয়ে কোনো ভুল বার্তা দেওয়া থেকে বিরত থাকা।’

অপরদিকে তাইওয়ানের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ান তাঁর নীতিতে অটুট আছে। চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না দেশটি। সমর্থন পেলে তাঁরা দ্রুত এগিয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, চীন তাইওয়ানকে নিজেদের প্রদেশ হিসেবে দাবি করে। এই দাবি শক্তিশালী করতে তাইওয়ানের ওপর রাজনৈতিক ও সামরিক চাপ প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলেছে দেশটি। কিন্তু তাইওয়ান বরাবরই চীনের এই দাবি অস্বীকার করে।   

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০