শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনে গত বুধবার থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯-এ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। কভিড মহামারির শুরু থেকে এর আগে এক দিনে দেশটির এত মানুষ একসঙ্গে আক্রান্ত হননি। খবর: সিজিটিএন।
চীনে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়। সুনির্দিষ্টভাবে কিছু এলাকায় লকডাউন দেয়। তারপরও ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি দেশটির প্রশাসন। গত মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এক দিনে আক্রান্ত হয় প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার মানুষ। আশঙ্কা করা হয়, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
সে আশঙ্কা সত্যি হয় গতকাল। বৃহস্পতিবার চীনের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে জানিয়ে দেয়া হয়, ২৪ ঘণ্টায় চিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫৪৫ জন। এ হিসাবে দেশের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ধরা হয়নি। শনাক্ত হওয়া রোগীদের ৩ হাজার ৯২৭ জনের উপসর্গ আছে। বাকি ২৭ হাজার ৫১৭ জনের উপসর্গ নেই বলে গতকাল দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রোগী শনাক্তের এ সংখ্যা গত ১৩ এপ্রিলের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ওই দিন দেশটিতে রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন ২৯ হাজার ৩১৭ জন। এ হিসাবেও দেশের বাইরে থেকে আসা রোগীদের ধরা হয়নি। গতকাল আরও একজনের মৃত্যুতে চীনে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা ৫ হাজার ২৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল চীনের মূল ভূখণ্ডে ২ লাখ ৯৭ হাজার ৫১৬ জনের করোনা শনাক্ত হলো যাদের উপসর্গ রয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উর্ধ্বমুখী, সে সঙ্গে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয় বিধিনিষেধ। কোথাও কোথাও লকডাউন দেয়া হয়। এ কারণে চীনের অধিবাসীরা একপ্রকার দমবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করছে। অনেকে লকডাউন মানতে চাইছে না, পরতে চাইছে না পিপিই কিট। এতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনেক নাগরিক তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে।
নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন ইতোমধ্যে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় কী পদক্ষেপ নেয়া হবে এবং আইসোলেশনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।