শেয়ার বিজ ডেস্ক: আসন্ন শীত মৌসুমের আগে চীনের সাধারণ মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্য মুজত করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা এবং ব্যাপক বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্য সরবরাহে সম্ভাব্য ব্যাঘাত ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় সোমবার এ নির্দেশনা দিয়েছে দেশটি। খবর: রয়টার্স।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, খাদ্যপণ্য মজুতের ব্যাপারে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার পর দেশটির অভ্যন্তরীণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তাইওয়ানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
এরপরই চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি সমর্থিত সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিক ডেইলি সরব হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনায় অতি উৎসাহী হয়ে এবং বেশিকিছু কল্পনা করে মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয় পত্রিকাটি।
ইকোনমিক ডেইলি বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কোনো এলাকায় লকডাউন জারি হলে নাগরিকরা যেন বিপদে না পড়েন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে জারি করা চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে গাজর, শসা, শাকসবজি ও ব্রোকলি জাতীয় খাদ্যপণ্যের দাম অক্টোবরের শুরু সপ্তাহ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। শ্যাংডং ট্রেডিং হাবের সূচক অনুযায়ী, প্রতি কিলোগ্রাম সজবির দাম ১৬.৬৭ ইউয়ান বা ২.৬০ ডলার পৌঁছেছে। ফলে অক্টোবরের তুলনায় আসন্ন মাসগুলোতে দাম আরও বেড় যাবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, কভিড মহামারির কারণে বেইজিংয়ে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের বাড়তি নজর কেড়েছে। আর তাই দেশটির সরকার এখন খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করছে। এছাড়া খাবার নষ্ট ও অপচয় কমাতে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, জরুরি সময়ে ঘাটতি মেটাতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে খাবার ও সবজি কিনে মজুত করতে হবে। এছাড়া জরুরি সরবরাহ নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে এবং মানুষের কাছে নিরাপদে পণ্য পৌঁছানো নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
