শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় আলোচনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই চীনে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি। চার দিনের এই সফরের সময় তিনি চীনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত শি জিনহুয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ তিন কর্মকর্তা চীন সফরে গেলেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন চীনে সফর করেন। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উত্তর গোলার্ধের অনেক জায়গার মতোই প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন জন কেরি। প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকারক গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করবে বলে জানা যাচ্ছে।
বৈঠকে কেরি মিথেন গ্যাসের নির্গমন এবং কয়লার ব্যবহার সীমিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চীনের ওপর চাপ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুই দেশের মধ্যে বর্তমান সম্পর্কের পটভূমিতে ওয়াশিংটন সরকার সম্ভবত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনাকে এমন একটি ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে যেখানে বাস্তব অগ্রগতি হতে পারে। চীনা পর্যবেক্ষকরা লক্ষ্য করবেন এই দুই নেতার আলোচনা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীনের সঙ্গে থমকে যাওয়া সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিন মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তা চীনে পা রেখেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৮ অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলন সফল করতে চীনের সঙ্গে কেরি কাজ করতে চান বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন সফরকালে স্বচ্ছ জ্বালানিকে পুরোপুরি কাজে লাগানো এবং দ্রুত কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য তাগাদা দেওয়ার চেষ্টা নিতে পারেন জন কেরি। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবকিছুকে পাশ কাটিয়ে তাই এ বিষয়টিকেই দুদেশের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এখন দুই দেশের শীর্ষ কূটনীতিকদের এই আলোচনা কতটা সফল হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।