শেয়ার বিজ ডেস্ক : চীনে দ্বিতীয় দফার করোনা নিয়ে বাড়ছে শঙ্কা। এরই মধ্যে বেইজিংয়ে মাংসের বাজার থেকে নতুন করে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দুই দিন ধরে নতুন এ ক্লাস্টার জোন থেকে করোনা-আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গোটা চীনে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ জন, তারা উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত। আক্রান্তের মধ্যে ছয়জনই বেইজিংয়ের। স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকেও পিছিয়ে এসেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর : এএফপি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব থেমে যায় মে মাসের শেষ সপ্তাহেই।
গত বৃহস্পতিবার টানা ৫৬ দিন পর প্রথমবারের মতো নতুন রোগী শনাক্ত হয় বেইজিংয়ে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেইজিংয়ের সিনফাদি মাংসের বাজার থেকে নতুন করে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার নতুন এ ক্লাস্টার জোন থেকে করোনা-আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত করোনা রোগীদের কয়েকজন সম্প্রতি বেইজিংয়ের শিনফাদি পাইকারি বাজারে গিয়েছিলেন। এ ঘটনা জানার পরপরই সেটি লকডাউন করে দেয় প্রশাসন। একই কারণে বন্ধ কওে দেওয়া হয়েছে জিংশেন সি-ফুড মার্কেটসহ ছয়টি বাজার।
ওই দুটি বাজারে শত শত পুলিশ কর্মকর্তা ও প্যালামিলিটারি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিকটস্থ স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সিনফাদি বাজারের চেয়ারম্যান বেইজিং নিউজকে বলেছেন, ভাইরাসটি আমদানি করা স্যামন মাছ কাটার চপিং বোর্ডে পাওয়ার পর বেইজিংয়ের খাবার সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে ভীতি ছড়িয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ বেইজিংয়ের একটি এলাকায় আবারও নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১৫ জুন প্রথম থেকে তৃতীয় গ্রেডের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল চালুর সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বেইজিং। এছাড়া সব সিনেমা হল, বার ও খেলাধুলার ইভেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ সেগুলো ফের চালু করা হবে, তা নিশ্চিত করেনি চীনের কর্তৃপক্ষ।
বেইজিং বাজার পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ শহরজুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি তদন্ত করতে টাটকা ও হিমায়িত মাংস, পোলট্রি ও মাছের বাজার, ওয়্যারহাউস ও ক্যাটারিং সেবা পর্যবেক্ষণ শুরু করছে। রাতারাতি বড় সুপারমার্কেট চেইনগুলো রাজধানী থেকে তাদের স্যামন মাছ সরিয়ে ফেলেছে। অনেক রেস্তোরাঁ স্যামন মাছ পরিবেশন বন্ধ করে দিয়েছে। সিনফাদি বাজারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন, সবাইকে দ্রুত পরীক্ষা করার জন্য ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া বাজারের কর্মীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে।
