শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের চাংশা নগরীতে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন। খবর: সিসিটিভি।
ভবনটি ধসে পড়ে গত সপ্তাহে। শুরুতে দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। তারপর থেকে কয়েক দিন ধরে চলা উদ্ধারকাজের পর গতকাল সিসিটিভি যারা নিহত হয়েছেন তাদের সংখ্যা জানায়।
গত ২৯ এপ্রিল হুনান প্রদেশের আটতলা ওই ভবনটি ধসে পড়ে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্ত‚প থেকে এ পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঘটনার পাঁচ দিন ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। ওই সময় তার চেতনা ছিল এবং কীভাবে তাকে নিরাপদে বের করা যাবে, সে বিষয়ে তিনি উদ্ধারকারীদের পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। ধ্বংসস্ত‚প থেকে আরেক নারীকেও ৮৮ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। এত দীর্ঘ সময় পর ধ্বংসস্ত‚প থেকে জীবিত উদ্ধার পাওয়ার ঘটনা চীনজুড়ে মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছে।
ভবনটি ধসে পড়া নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চীনে ভবন ধসের এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে। দুর্বল অবকাঠামো, নিরাপত্তা অব্যবস্থাপনা ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ভবনের মালিকসহ ভবনটি নির্মাণের জন্য দায়ী আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভবনটির নিরাপত্তা নিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ এই ভবনধসের কারণ নিশ্চিত করে জানায়নি। গত শনিবার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে কোনো মূল্যে অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে এবং ভবনধসের ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। ছয়তলা ওই ভবনটি মূলত আবাসিক। তবে সেখানে একটি সিনেমাহল ও হোটেলও রয়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে ভবনটিতে অতিরিক্ত কাঠামো নির্মাণের কারণে এটি ধসে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, ধ্বংসস্ত‚প সরানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি রাখার জায়গা সীমিত থাকার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ধসের ঘটনায় ভবনটি-সংলগ্ন অন্যান্য ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেগুলোও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।