শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের গুইঝো প্রদেশে বুলেট ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে আটজন হতাহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর: সিসিটিভি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশনের (সিসিটিভি) প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউয়েজাই টানেলের প্রবেশমুখে ট্রেনের সাত ও আট নম্বর বগিটি লাইনচ্যুত হয়।
বুলেট ট্রেন ডি২৮০৯ চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুইয়াং প্রদেশ থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংজুয় যাচ্ছিল। রোংজিয়াং স্টেশনে আকস্মিক ভ‚মিধসের কারণে ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সাত যাত্রী আহত হন।
আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৬ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করা হচ্ছে। এটি গুয়াংজুর উপক‚লীয় ব্যবসাকেন্দ্রে নিয়মিত রুটে যাতায়াত করত।
ভারী বর্ষণ ও পার্বত্য অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সংমিশ্রণে এই অঞ্চলে ভ‚মিধসের ঘটনা প্রায় ঘটছে। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে। ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল।
চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত উচ্চ-গতির (বুলেট) রেল নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশব্যাপী ৪০ কিলোমিটারজুড়ে এর রেললাইন বিস্তৃত। এই ট্রেনগুলো প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে চলে। বার্ষিক কয়েক মিলিয়ন যাত্রী বহন করা সম্ভব।
২০১১ সালের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওয়েনঝোর বাইরে দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪০ জন মারা যান। অন্যন্য ক্ষতির পরিমাণ গোপন করেছিল সরকার, যার ক্ষোভে জনতার
মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এর আগের বছর পূর্ব চীনের জিয়াঝিং প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে কমপক্ষে তিনজন নিহত ও ১০ জনের বেশি আহত হন।
সবশেষ চীনে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে চলতি বচর ২১ মার্চ। সেদিন চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী এক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে বিমানে থাকা ১৩২ জন সবাই নিহত হন। এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করে সরকার। কিন্তু বিস্তারিত কিছুই জনসম্মুখে জানানো হয়নি।
