শেয়ার বিজ ডেস্ক : কভিড বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক বিক্ষোভের কারণে বাধ্য হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সাংহাই ও গুয়াংজু প্রদেশের কয়েকটি জেলার লকডাউন তুলে নিয়েছে চীনের কর্তৃপক্ষ। এর আগে দেশটির ভাইস প্রিমিয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, সংক্রমণ বাড়ায় নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে চীন। তবে দেশটির কভিড পরিস্থিতি শূন্যের কোটায় নামিতে আনতে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসছে সরকার। খবর: রয়টার্স।
বিক্ষোভের পর গুয়াংঝু শহরে কভিড-১৯ বিধিনিষেধ শিথিল করেছে চীন সরকার। গত বুধবার শহরের অর্ধেক এলাকা থেকে তুলে নেয়া হয় বিধিনিষেধ। গণহারে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ ও আক্রান্তের সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারেন্টাইনের নিয়মে আনা হয়েছে শিথিলতা।
এর এক দিন আগে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের নেয়া ‘শূন্য কভিড নীতি’র বিরুদ্ধে দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। ১৯৮৯ সালে তিয়ানানমেন স্কোয়ারের বিক্ষোভের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।
কড়াকড়ি কমানো হয়েছে চংকিং ও ঝেংজৌ শহরেও। চংকিংয়ে কিছু শর্তে মানতে হবে না কোয়ারেন্টাইনের বিধি।ঝেংজৌ শহরে কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান চালুর অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে সাংহাই, বেইজিংয়ের মতো বড় শহরগুলোয় এখনও বহাল বিধিনিষেধ। বড় শহরগুলোয় অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ঠেকাতে দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী, অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
সম্প্রতি চীনের একাধিক প্রদেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির কথা জানায় বেইজিং। গত বুধবার নতুন করে রেকর্ড ৩৬ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়। যাদের কভিডের লক্ষণ রয়েছে তাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। কয়েকটি জায়গায় ঘর থেকে বের হওয়া নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ২০০ জন মারা গেছে।