নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে কীভাবে ফিরে যাবে সে লক্ষ্যে চীন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। গত পাঁচ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে চীন মধ্যস্থতা করছে। বিগত দুদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘চীন চায় দ্রæত রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরে যাক। তাদের দ্রæত প্রত্যাবাসনে চীন সবসময় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারকে সহযোগিতা করে আসছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও চীন রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে সব সহযোগিতা করে যাবে।’
গতকাল দুপুরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে চীন সরকারের পক্ষ থেকে মেডিকেল যন্ত্রপাতি হস্তান্তরকালে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের একান্ত বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবসময় চীন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবাসহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কক্সবাজারের মানুষের জন্য ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার করা হবে।’
এ সময় লি জিমিং জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময়ও করেন। যন্ত্রপাতি হস্তান্তরকালে আরও উপস্থিত ছিলেনÑকক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, কক্সবাজারের ডিসি মামুনুর রশীদ, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান প্রমুখ।