শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য করতে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নের চেষ্টা করছে দেশটি। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে মিত্র দেশ দুটির মধ্যে ১৩ দশমিক আট বিলিয়ন ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে। খবর আরব নিউজ, দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়টি কেমন হবেÑতা সমন্বয় করেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনিই দুদেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নবিষয়ক পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয়ে কাজ করছেন। তবে আহসান ইকবাল জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণভাবে পাকিস্তানি রুপির ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।
দীর্ঘমেয়াদি ওই পরিকল্পনার মধ্যে দুদেশের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে যেসব ক্ষেত্রগুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যার মধ্যে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি, বাণিজ্য, পর্যটন, শিল্প পার্ক স্থাপন ছাড়াও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বর্তমান সময়ের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির দেশ চীনের অন্যতম মিত্র পাকিস্তান, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডর (সিপিইসি) নামে এ প্রকল্প অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত করতে চায় বলে জানা গেছে।
চীন ইতোমধ্যে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ পরিকল্পনার আওতায় সিপিইসির প্রকল্পে পাকিস্তানে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। নতুন সিল্ক রোড তৈরির পরিকল্পনা হিসেবে পরিচিত ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার ৬০ দেশের মধ্যে সড়ক ও সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক রুট তৈরি করা হচ্ছে।
কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তানের বিভিন্ন খাতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন। বিশেষ করে বেলুচিস্তানের গাদার বন্দরে ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে দেশটি। সেখানে অত্যাধুনিক বিমানবন্দর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, জ্বালানি পাইপলাইন, রেল ও সড়ক সংযোগ স্থাপনসহ বেশ কয়েকটি খাতে উল্লেখযোগ্য হারে বিনিয়োগ করছে বেইজিং। যদিও এ প্রকল্পের বিষয়ে ঘোর আপত্তির কথা জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।