Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 3:51 am

চীন বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক মিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সত্যিই এক বিরল বিস্ময়। বাংলাদেশের উন্নয়নের কৌশলগত অংশীদার হিসাবে চীন গর্ববোধ করে। চীন হলো বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এক কৌশলগত মিত্র। এ দেশের উন্নয়নকে চীন সর্বদা প্রাধান্য দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে মানবাধিকার কিংবা নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক বিষয়ে চীনের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, যা নিতান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বিনিয়োগ সহায়তা ও বিডা’র বিনিয়োগ-পরবর্তী সেবা’ শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বিসিসিসিআই যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী সদস্য অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, বিনিয়োগ-সহায়ক সেবামুখী সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিডা জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ সহায়তা ও সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিভাগ সব সময় সব দেশের বিনিয়োগ সহায়তা বিধানে উš§ুক্ত। বিশেষ করে এ দেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী চীনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বদা তৎপর। বিদেশি বিনিয়োগে ৬৭টি কাঠামোগত সেবা সহায়তার মধ্যে ২৩টি সেবা প্রদান করে বিডা। বিডা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে শিগগির একটি সমন্বিত উদ্যোগে কারিগরি সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবি সভাপতি কে চাংলিয়ং বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় একটি বিশেষ নিরাপত্তা টিম গঠনের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাবনার বিভিন্ন বিষয়ে এই কর্মশালায় উš§ুক্ত আলোচনায় বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় চীনা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগের প্রস্তাব এবং বিনিয়োগকারীদের সুযোগসুবিধা-সম্পর্কিত প্রস্তাব বিসিসিসিআই’র মাধ্যমে বিডার কাছে পাঠানো হলে তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে। কারণ চীনা বিনিয়োগ উন্নয়নে বিসিসিসিআই এবং বিডার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়েছে, যার বিধান অনুযায়ী বিসিসিসিআই এবং বিডা এখন থেকে দুই মাস পরপর বৈঠক করবে, যাতে বিষয়গুলো ত্বরান্বিত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

বিসিসিসিআই সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিরাজমান কাঠামোগত প্রতিকূলতা দূর করা, সরকারি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর কর্মদক্ষতা ও সমন্বয় আরও বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি।