Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 2:39 am

চীন বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে চীন এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের তালিকায় উঠে এসেছে। নতুন এক গবেষণা বলছে, শেষ দুই দশকে বিশ্বের সম্পদ বেড়ে তিনগুণ হয়েছে, আর এ দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সবচেয়ে ধনী দেশে পরিণত হয়েছে চীন। গবেষণাটি প্রস্তুত করেছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানির গবেষণা শাখা। গবেষণা প্রতিবেদনটি গতকাল সোমবার ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। খবর: এএফপি, ব্ল–মবার্গ।

৬০ শতাংশের বেশি বৈশ্বিক আয়ের প্রতিনিধিত্বকারী ১০টি দেশের জাতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা করে ম্যাকেঞ্জি অ্যান্ড কোং এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের মোট সম্পদ পেঁৗঁছেছে ৫১৪ ট্রিলিয়ন ডলারে, ২০০০ সালেও যা ছিল ১৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এ বৃদ্ধির এক-তৃতীয়াংশই এসেছে চীনের হাত ধরে। দেশটির সম্পদ এখন সবাইকে ছাড়িয়ে ১২০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে; ২০০০ সালের দিকেও এ সম্পদ ছিল মাত্র সাত ট্রিলিয়ন ডলার। এর পরের বছরই চীন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় যোগ দেয়, তার পর থেকে তার অর্থনীতির আকার বাড়তে থাকে হু-হু করে।

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদও দ্বিগুণের বেশি হয়ে ৯০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্বের বড় এ দুই অর্থনীতির দেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মোট সম্পদের দুই-তৃতীয়াংশই ধনী ১০ শতাংশ পরিবারের কব্জায়। ২০০০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো যথাক্রমে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, মেক্সিকো ও সুইডেন।

ম্যাককিনসির মতে, গত দুই দশকে সম্পদের এ ঊর্ধ্বগতি বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিকে ছাড়িয়ে গেছে, সুদের হার হ্রাসের ফলে সম্পত্তির দাম বেড়ে যাওয়া তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে।

আয়ের তুলনায় সম্পদের দাম তাদের দীর্ঘমেয়াদি গড়ের চেয়েও ৫০ শতাংশ বেশি বলে দেখতে পেয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি। এটাই সম্পদের এমন বৃদ্ধির স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। এর নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ভূ-সম্পত্তির মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেকের জন্যই বাড়ির মালিক হওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, বাড়াচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিও। যেমনটা দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সালে। ভবননির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণকে ঘিরে চীনও এ ধরনের সমস্যার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলেও অনেকের আশঙ্কা।