প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দুই দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পর তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোকে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শীতে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে গতকাল পর্যন্ত শীতের পরিস্থিতি মূল্যায়নে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরীন জানান, ১৮ তারিখ থেকে তাপমাত্রা পর্যায়ক্রমে ১১ দশমিক ৯, সাত দশমিক ৯, আট দশমিক চার, ১০ দশমিক চার, ৯ দশমিক চার, ১১ দশমিক ছয় ডিগ্রি, ১১ দশমিক দুই ডিগ্রি, ৯ দশমিক ছয়, ১১ দশমিক সাত এবং ২৭ ডিসেম্বর ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। কিন্তু গতকাল একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে পাঁচ ডিগ্রি। গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, আরও কয়েক দিন হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে শীতের তীব্রতা বাড়াই তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হয়। বৃষ্টি ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ পরিষ্কার হওয়ার পর শীতের তীব্রতা শনিবার ভোর থেকে বাড়তে শুরু করেছে।
শীতের তীব্রতার কারণে ছিন্নমূল ও সাধারণ মানুষদের বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষ শীত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন করছে। অনেকে পুরোনো কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর মানুষ ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছে।