চুল পড়ার আট কারণ

বেশিরভাগ মানুষেরই প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে পড়তে পারে। স্বাভাবিক নিয়মে তা পূরণ হয়ে যায়। তবে অতিরিক্ত হলে তা দুশ্চিন্তার কারণ বৈকি। বাড়তি চুল পড়া হতে পারে রোগের লক্ষণও। তাই দেখে নিন চুল ঝরে পড়ার আটটি কারণ

ওষুধ

কিছু ওষুধ যেমন স্ট্যাটিন, বিষণœতা ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়ার ওষুধ কিংবা হরমোন জাতীয় ওষুধ প্রভৃতি চুল ঝরে পড়ার কারণ হতে পারে। চুল বৃদ্ধির স্বাভাবিক চক্রকে ব্যাহত করে এসব ওষুধ। ভারতের মুম্বাইভিত্তিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অপ্রাতিম গোয়েলের মতে, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলও চুল ঝরার অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত।

জীবনযাপন

শরীর ও মনে প্রভাব ফেলে এমন যে কোনো ঘটনা, যেমন অপারেশন, ওজন হ্রাস কিংবা স্থূল হয়ে যাওয়া প্রভৃতি চুল পড়ার কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকটা সময় নিয়ে ধীরে ধীরে চুলের ক্ষতি করে সব ধরনের উদ্বেগ। সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করলেও চুল পড়তে পারে। এছাড়া আয়রন ও ভিটামিন ‘ডি২’-এর ঘাটতি ও ধূমপান চুল পড়ার অন্যতম কারণ বলে বিবেচিত।

মাথা ঘষাঘষি

কারণে-অকারণে চুলে হাত দেওয়া কিংবা বারবার চুল ঠিক করার কারণে অনেকের চুল পড়ে।

অযত্ন

চুলের প্রয়োজন সঠিক যত্ন। ভিজা অবস্থায় বেশিক্ষণ রাখা উচিত নয় চুল। এমনকি এ সময়ে চুল আঁচড়ানোও ঠিক নয়। জোরে জোরে টাওয়েল দিয়ে চুল পরিষ্কারের চেষ্টা করলে কিংবা শুকানোর জন্য হেয়ারড্রায়ার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হয়। অহেতুক জেল ব্যবহার করলে চুল তার নমনীয়তা হারায়।

দূষণ

নিকেল, সিসা, আর্সেনিক, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি তালুতে স্থান পেলে চুলের ক্ষতি হয়। সঙ্গত কারণে চুল ঝরে যায়।

 সূর্য

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চুল রুক্ষ করে তোলে। চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।

 পানির গুণগত মান

পানির কারণেও চুল পড়ে। বিশেষ করে দূষিত পানি ব্যবহারের কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়ে যায়। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ ধরে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করলেও চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়।

ক্লোরিন

যেখানে-সেখানে গোসল করা উচিত নয়। ত্বকের মতোই চুলের ওপরও প্রভাব ফেলে ক্লোরিন। তাই গোসলের সময় ক্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০