প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা : খোলাবাজারে বিক্রি ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের কার্যক্রম সমন্বয়ের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা সদর খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য বিভাগের আয়োজনে খোলাবাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চাল বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন, পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভুইয়া, ঢাকা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষণা কর্মকর্তা ধীমান সেন, ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা একেএম শহিদুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা একেএম শহিদুল ইসলাম বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সব পৌরসভা ও পৌরসভার বাইরে দামুড়হুদা উপজেলায় খোলাবাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার জেলা সদরের পাঁচটি ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন ডিলারপ্রতি দুই মেট্রিক টন অর্থাৎ ১০ মেট্রিক টন, আলমডাঙ্গা পৌরসভায় চারটি ডিলারের মাধ্যমে আট মেট্রিক টন, জীবননগর পৌরসভায় তিনটি ডিলারের মাধ্যমে ছয় মেট্রিক টন, দর্শনা পৌরসভায় তিনটি ডিলারের মাধ্যমে ছয় মেট্রিক টন ও দামুড়হুদা উপজেলায় দুটি ডিলারের মাধ্যমে চার মেট্রিক টন চাল বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চালের গুদাম থেকে ডিলারের ক্রয়মূল্য ২৮ টাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করা শুরু হয়েছে। সাধারণ ভোক্তার পাশাপাশি এবং টিসিবির কার্ডধারীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডিলারের কাছ থেকে প্রতি মাসে দুবার পাঁচ কেজি করে ১০ কেজি চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে পারবেন। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া মাসে ২২ দিন এ কার্যক্রম চলবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী এ কার্যক্রম ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছয় হাজার ৮০০ নিম্ন আয়ের মানুষ এ সহায়তা পাবেন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশের মতো চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩১ হাজার ৯৩৪ সুবিধাভোগী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল কেনা যাবে।
