প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় মিষ্টির দোকানে অভিযান চালানোর সময় আকবর হোসেন লিল্টু (৫০) নামে এক ভূয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে স্বীকার করেন তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়। এসময় উত্তেজিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
পরে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যলয় চত্বরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে এঘটনা ঘটে।
আটক লিল্টু চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কোর্টপাড়ার মৃত নুরুল হোসেনের ছেলে।
ডিঙ্গেদহ বাজারে অবস্থিত জিনিয়া হোটেলের মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, প্রথমে লিল্টু বাজারের রাতুল হোটেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে যায়। সেখানে ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে ব্যর্থ সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ২০০ টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন রাতুল হোটেলের মালিক। পরে আমার দোকানে এসে দুটি মিষ্টি খান। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয়দের তোপের মধ্যে পড়েন তিনি। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে গণধোলাই শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি তিনি ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি একা ছিলেন এবং অসাধু কথাবার্তা বলছিলেন। এ কারণে সে ধরা পড়েছেন।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট লিল্টুকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেয়া হয় তাকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে একটি মিষ্টির দোকানে ২শ টাকা জরিমানা করেছেন আটককৃত ব্যক্তি। অপর দোকানে গেলে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাকে হালকা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে বিকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামিম ভূইয়ার ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। অভিযুক্ত দোষ স্বীকার করায় দন্ডবিধির ২৯১ ধারায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।