‘তারার হাসি ফুলের চোখ, আমার হোক, সবার হোক’ স্লোগানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) সপ্তম তারুণ্য উৎসব সমাপ্ত হলো। চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে ওই উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
উৎসবে দর্শক পছন্দে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় সাদমান জাহিনের ‘পোকা’। বিচারকদের রায়ে সেরা হয় জোসেফ মেহেদীর ‘পোস্টার’। শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্র নির্বাচিত হয় রহমান মোস্তাফিজের ‘দি লোন ওয়াকার’, প্রথম রানারআপ হয় খন্দকার তানভীর হোসাইনের ‘হিডেন গ্রিপ’ ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়
শাহরিয়ার মাহমুদ জেলানের ‘টিয়ার্স অব আই’। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাব। রানার্সআপ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ অব ডিবেটরস। ডিবেটর অব দি টুর্নামেন্ট ও ডিবেটর অব দি ফাইনাল নির্বাচিত হন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং ক্লাবের হুমায়ুন রশীদ জীবন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও তারুণ্য উৎসবের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, ছাত্রকল্যাণ উপপরিচালক অধ্যাপক ড. জিএম সাদিকুল ইসলাম, চুয়েট ডিবেটিং সোসাইটির প্রধান মডারেটর ও ইউআরপি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এটিএম শাহজাহান, নভেলটি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের এমডি ইফতেখাব আলম (টনি), আরামিট গ্রুপের ডিজিএম মইনুদ্দিন আহমেদ ও চুয়েট প্রাক্তন ছাত্র সমিতির আবু নাছের নূর।
তারুণ্য উৎসবে দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। উৎসবের প্রথম দিন ছিল তারুণ্যের শোভাযাত্রা, মঞ্চনাটক ‘রুপার কৌটা’ প্রভৃতি। ৩০ মার্চ দ্বিতীয় দিন ছিল বিতর্ক, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, মুভি প্রিমিয়ার ‘গহীন বালুচর’, আতশবাজি, আন্তবিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক উৎসব ও বাউল রাত। সমাপনী দিনে ছিল চূড়ান্ত বিতর্ক, পুরস্কার বিতরণী, গানে গানে প্রভাতফেরি, কনসার্ট প্রভৃতি।
উৎসবের টাইটেল স্পন্সর ছিল আরামিট গ্রুপ। কো-স্পন্সর নভেলটি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। কালার পার্টনার এশিয়ান পেইন্টস। বেভারেজ পার্টনার এইচবি জামিল গ্রুপ ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ছিল চুয়েট প্রাক্তন ছাত্র সমিতি।
সাইফ ইউ আলম