চুয়েটে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা কর্নার

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক একটি কর্নার চালু হতে যাচ্ছে। আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণ প্রজš§কে জানানোর প্রয়াস হিসেবে এ কর্নারটি চালু করা হচ্ছে। কর্নারটিতে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি, বই, ঐতিহাসিক দলিল ও অডিও-ভিস্যুয়াল তথ্য থাকবে। এখানে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে রচিত প্রায় ৩৫০টি বই, ২০টি দুর্লভ ছবিসহ ৩০টি ভিডিওচিত্র সংবলিত সিডি রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে সরবরাহ করা ‘বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের আলোকচিত্রমালা’ শিরোনামে ২০০ পৃষ্ঠার একটি ফটো অ্যালবাম রয়েছে। অ্যালবামটিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের বেশকিছু দুর্লভ ছবি রয়েছে। পাশাপাশি মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্র, সাত বীরশ্রেষ্ঠ এবং মুক্তিযুদ্ধে নারী ও কৃষকের অবদান দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

কর্নারটিতে শোভা পাবে মুক্তিযুদ্ধে চুয়েট ক্যাম্পাসে শহীদ হওয়া দুই সাবেক শিক্ষার্থী শহীদ মোহাম্মদ শাহ ও শহীদ তারেক হুদার ছবি। কর্নারটি শিক্ষার্থী ও গবেষকসহ চুয়েট পরিবারের সবার জন্য প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে।

‘মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ কর্নার প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অনেক গৌরবময়। স্বাধীনতা একদিনে আসেনি। অনেক বীরত্বগাথা রয়েছে এখানে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি, তা নতুন প্রজš§সহ সবার সামনে আমাদের যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।’ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজš§কে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০