নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাব তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি আট দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে মন্ত্রী জানান, গত মার্চে সাময়িক হিসাবে যা ছিল আট দশমিক ১৩ শতাংশ।
এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিবিএসের হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ, এর আগের অর্থবছর যা ছিল সাত দশমিক ২৮ শতাংশ। আর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে যা ছিল সাত দশমিক ১১ শতাংশ। গত অর্থবছর আট শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল সরকারের, যদিও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এটি আরও কম ছিল। সেই আট শতাংশ লক্ষ্যের বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে আট দশমিক ১৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে জিডিপি আট দশমিক দুই শতাংশ হারে বাড়বে বলে প্রক্ষেপণ দেওয়া হয়েছে বাজেটে। তবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি সাত দশমিক দুই শতাংশ হারে বাড়বে।
বিবিএসের হালনাগাদ প্রতিবেদন তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরের জিডিপির আকার চলতি মূল্যে দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ২২ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরে শিল্প খাতে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য আট শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে কৃষি খাতে তিন দশমিক ৯২ শতাংশ ও সেবা খাতে ছয় দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা তার আগের অর্থবছরে ছিল যথাক্রমে চার দশমিক ১৯ শতাংশ ও ছয় দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এদিকে চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার বাড়লেও মাথাপিছু আয় অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রবৃদ্ধি চূড়ান্ত হিসাবে আট দশমিক ১৩ থেকে বেড়ে আট দশমিক ১৫ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু মাথাপিছু আয় সাময়িক হিসাবে যা ছিল, চূড়ান্ত হিসাবেও তা-ই রয়েছে; এক হাজার ৯০৯ ডলার।
মাথাপিছু আয় না বাড়ার কারণ তুলে ধরে মন্ত্রী তিনি বলেন, সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা কিছুটা মান হারানোর কারণে ডলারের হিসাবে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পায়নি। তবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টাকার অঙ্কে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। টাকার অঙ্কে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চূড়ান্ত মাথাপিছু আয় হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকা, যা খসড়া হিসাবে এক লাখ ৬০ হাজার ৬০ টাকা ধরা হয়েছিল। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার।