নিজস্ব প্রতিবেদক:চেক প্রতারণা মামলায় ই-কমার্স কোম্পানি আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ খসরুজ্জামান গতকাল রোববার শিকদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ এখনও পড়েনি।’
এর আগে পলাতক মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম আহমেদ হুমায়ুন কবীর। সমন জারির পরও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত জানুয়ারিতে শিকদারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মো. আবুল বাশার নামে এক গ্রাহক চেক প্রতারণার এই মামলাটি করেছিলেন ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আলেশা মার্টের বিজ্ঞাপনে ‘আকৃষ্ট হয়ে’ ২০২১ সালের ৫ জুন আলেশা মার্টের অনলাইন শপ থেকে দুটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য এক লাখ ৯৪ হাজার ৮০ টাকা বিকাশ/নগদের মাধ্যমে আসামিকে পাঠিয়েছেন।
অর্ডার করা ওই মোটরসাইকেল কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী সাত থেকে ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে গ্রাহককে দেয়ার কথা ছিল আলেশা মার্টের। কিন্তু সেটি দিতে ব্যর্থ হয় তারা। পরে বাদীকে মোটরসাইকেল না দিয়ে ২০২৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর দুই লাখ ৬৮ হাজার ৫৬০ টাকার দুটি অ্যাকাউন্ট পে চেক পাঠায়। ওই চেক ভাঙাতে নিজের ব্যাংক হিসাবে জমা দিলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর উকিল নোটিস পাঠিয়েও টাকা না পাওয়ায় মামলা করেন বাদী।
অর্থ পাচার মামলায়ও শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তাদের সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সিআইডি কর্মকর্তা আল মামুনের করা বনানী থানার ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রাহকের টাকায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় প্রায় দুই হাজার শতক জমি কিনেছেন, যার আনুমানিক মূল্য দেখানো হয়েছে ২১ কোটি টাকা।