শেয়ার বিজ ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক চ্যাটবট সেবা চ্যাটজিপিটির সাপ্তাহিক ব্যবহাকারীর সংখ্যা বেড়ে ২০ কোটি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এ সংখ্যা এর অর্ধেক ছিল বলে জানিয়েছে চ্যাটজিপিটির নেপথ্যের সংস্থা ওপেনএআই। খবর: এবিসি নিউজ।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি বাজারে ছাড়ে ওপেনএআই। এর বিশেষত্ব ছিল মানুষের মতো করে ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারতো এটি। নভেম্বরে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান জানান, সাপ্তাহিক ইউজারের সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। ওপেনএআই জানিয়েছে, ফরচুন ৫০০ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯২ শতাংশই তাদের পণ্য ও এপিআই ব্যবহার করছে। এপিআইর মাধ্যমে একটি সফটওয়্যার অন্য সফটওয়্যারকে নির্দেশনা দিতে পারে। ওপেনএআইর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে নিয়ে যত নাটকীয়তা
জুলাইয়ে চ্যাটজিপিটি-৪০ মিনি চালুর পরই মূলত ইউজারের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। জিপিটি-৪০ একটি সাশ্রয়ী এআই মডেল। চ্যাটজিপিটির মূল সংস্করণের সব সক্ষমতা না থাকলেও ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি পর্যায়ে চাহিদা মেটাতে এটি খুবই কার্যকর। যার ফলে, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোয় এটি অল্প সময়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিক দিয়েও এগিয়ে আছে এটি।
চ্যাটজিপিটি সার্বিকভাবে ‘এআই’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সানফ্রানসিসকো ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির মূল্য বাড়িয়েছে। আলাদা করে ওপেন এআই ও অ্যানথ্রোপিক মার্কিন সরকারের সঙ্গে এআই মডেলের গবেষণা, নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন নিয়ে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, অ্যাপল ও এনভিডিয়া ওপেনএআইয়ে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এই বিনিয়োগ রাউন্ডের পর চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেন এআই’র মূল্যমান ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মাইক্রোসফটও এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে পারে বলে জানা গেছে। তবে চ্যাটজিপিটির দাপট দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্মস্থলে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেকে তাদের নিত্যদিনের কাজ সহজে সারছেন বলে এর ব্যবহার সীমিত করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে
