চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় বার্সার

 

ক্রীড়া ডেস্ক: এবার আর ইতিহাস গড়া হলো না বার্সেলোনার। কেননা প্রতিটি দলই তো আর পিএসজির মতো নয়। গত পরশু কাতালানদের সামনে যে ছিল জুভেন্টাসের মতো পরাশক্তি। সিরি আ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জ্বলে উঠতে পারেননি লিওনেল মেসি, নেইমার, লুইস সুয়ারেজরা। তাইতো প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ভাঙতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র’তে ইউরোপসেরার লড়াই থেকে বিদায় নিতে হয়েছে লুইস এনরিক শিষ্যদের।

এর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে জুভেন্টাসের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। তাইতো গত পরশু কাতালানদের ইউরোপসেরার লড়াইয়ে সেমিফাইনালে উঠতে ৪-০ গোলে জিততো হতো। কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে কোনো বলই জড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।

গত পরশু ন্যু-ক্যাম্পে ম্যাচটা দুর্দান্তই খেলেছে বার্সা। আক্রমণের পর আক্রমণ করে জুভেন্টাসের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্তই রেখেছিল তারা। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ভাঙতে পারেননি মেসি-নেইমার-সুয়ারেজরা। গোল করার সুযোগ যে কাতালানদের সামনে আসেনি, তা কিন্তু নয়। কিন্তু ম্যাচের ১৭তম মিনিটে মেসির লম্বা থ্রুতে জরদি আলবা পা ছোঁয়াতে পারেননি। ১৯ মিনিটে মেসির শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে চলে গেল। ৬৬ মিনিটে কিং লিও নষ্ট করেছেন সহজ সুযোগটা। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও তাই লুইস এনরিকের দলের বিদায় হয়ে গেলো চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই।

জুভেন্টাসের বিপক্ষে গত পরশুর ম্যাচে বার্সেলোনা গোলে শট নিয়েছে ১৯টি। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র একটি। এ ম্যাচের আগে ন্যু ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত ৪ ম্যাচে বার্সেলোনার গোলসংখ্যা ছিল ২১টি। সিরি আ চ্যাম্পিয়নদের রক্ষণভাগকে সব সময় বলা হয় ইউরোপসেরা। তারা যেন কাতালানদের সঙ্গে সেটাই প্রমাণ করলো চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই লেগেই। লুইস এনরিকের শিষ্যদের বিপক্ষে ১৮০ মিনিট কোনো গোল হজম না করাটাও তাই জানান দেয়। গত ৫০টি ম্যাচে এটি বার্সেলোনার প্রথম গোলশূন্য ড্র। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল জুভেন্টাস।

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০