নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে গত ১৯ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ছয় দিনে বিএনপির ৬৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার দাবি, বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত জনসমাবেশ কেন্দ্র করে এ নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
রিজভী জানান, এ ছয় দিনে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলা হয়েছে ১৪৮টি। এসব মামলায় প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি দলের হামলায় বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এ মামলায়ও আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম জিয়ার বিচারকাজ চালাচ্ছেন।
গণআন্দোলনে ভীত-সন্ত্রস্ত আওয়ামী লীগ খেই হারিয়ে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিয়ে নারকীয় উš§ত্ততায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বৈঠক করে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও মিছিল-সমাবেশের ওপর হামলা চালাচ্ছে, গুলি চালাচ্ছে।
ছাত্রলীগের বাছাই করা ক্যাডারদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে তাদের দিয়েই পদযাত্রা-মিছিল, সমাবেশ ছিন্নভিন্ন করে দেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রিজভী।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারাদেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। তার এ হুংকারের পর বিএনপির ওপর হামলা-মামলা-আটকের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুলিশ, র্যাব ও সোয়াত বাহিনী। সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বিনা উসকানিতে হামলা করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।