প্রতিনিধি, কক্সবাজার : ছয় বছর পর কক্সবাজার সফরে আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় কক্সবাজারের ইনানীতে নৌবাহিনীর ৩০ দেশের আন্তর্জাতিক মহড়ায় অংশ নিয়ে ৩ দিনের কর্মসূচী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন দুপুর ১২টার দিকে ইনানী থেকে কক্সবাজার শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন এবং সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
এদিকে তাঁর আগমণে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশাল আয়োজনে সাজানো হয়েছে পুরো শহরকে। নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে কেন্দ্র করে আয়োজনের কমতি রাখা হয়নি। নৌকার আদলে তৈরি বিশাল মূল মঞ্চ। সাথে আরো চারটি সাইট মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সাড়ে ৪ লাখ লোক সমাগমের লক্ষ্য নেয়া হয়েছে। সে মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীরা জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিলযোগে জনসভায় যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে পুরো শহরকে জানানো হয়েছে। ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে সেজেছে সবখানে।
অন্যদিকে জনসভার ভেন্যুস্থল কক্সবাজার আন্তর্জাতিক শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। পুলিশের সাথে র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী রয়েছে। সকাল থেকে সার্বক্ষণিক বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে উৎসুক হয়ে আছে নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যে জনসভার একদিন আগেই দূর-দূরান্তের হাজার হাজার নেতাকর্মী কক্সবাজারে এসে অবস্থান নিয়েছেন। ভোর থেকে অনেকেই জনসভাস্থলেই চলে এসেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে কোনো আয়োজনের কমতি রাখা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৪ বছরে কক্সবাজারকে দুহাত ভরে দিয়েছেন। কক্সবাজার এখন চকচক করে। আরও উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়ে গেলে অপূর্ণতা কিছু থাকবে না। জনসভায় কক্সবাজারবাসীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান জানানো হবে। জেলার প্রতিটি ঘর থেকে লোক এসে জনসভায় যোগ দেবে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুর ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাথে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ২০ জনের বেশি কেন্দ্রীয় নেতা জনসভায় অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে অনেকে কক্সবাজারে চলে এসেছেন। আশা করছি, সর্বোচ্চ জনসমাগম হয়ে কক্সবাজারের ইতিহাসের বড় চেয়ে বড় জনসভা হবে এটি।