ছয় মাস পর লেনদেন সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে প্রধান প্রধান সূচক বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবারের লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়ে প্রায় ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। এদিন লেনদেন সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত ছিল। গতকাল শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও শেয়ার কেনার চাপ বেশি ছিল পাট খাতের শেয়ারে। ফলে খাতটি দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল। সেই সঙ্গে এ খাতের শেয়ারদরে বড় উত্থান হয়েছে। অপরদিকে এদিন উত্থানেও বিনিয়োগকারীরা বিমুখ ছিলেন ভ্রমণ খাতের শেয়ারে। এ কারণে  এ খাতে শেয়ার বিক্রির চাপ ছিল। এছাড়া লেনদেনে শীর্ষে থাকা খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও শেয়ারদর কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল পাট খাতের শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এদিন খাতটিতে মোট ৩টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে সবগুলোর দর বেড়েছে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল কাগজ ও মুদ্রণ খাতের শেয়ার। এ খাতের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাতটিতে মোট ৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে ৪টির দর বেড়েছে এবং ১টির দর কমেছে। ১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়ে তৃতীয় ছিল আইটি খাত। এছাড়া টেলিকমিউনিকেশন, মিউচুয়াল ফান্ড, প্রকৌশলী, বস্ত্র এবং আর্থিক খাতে শেয়ারদর বৃদ্ধির বা কমার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে গতকাল বিনিয়োগকারীদের বিক্রির চাপ থাকায় ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে। খাতটিতে শেয়ারদর কমেছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এরপর রয়েছে সেবা ও আবাসন খাতের শেয়ার। খাতটিতে ১ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে। শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ারদর কমে তৃতীয় স্থানে ছিল ট্যানারি খাত। এদিকে লেনদেনে শীর্ষ থাকা খাদ্য খাতে শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।

অপরদিকে গতকাল লেনদেনের দিক থেকে সবচেয় বেশি লেনদেন হয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। খাতটিতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্যাংক খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা আইটি খাতে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে। ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ লেনদেন হওয়া ওষুধ খাত রয়েছে চতুর্থ স্থানে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে ৯৬৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৬৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৭৪ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬২ দশমিক ৯০ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৮ দশমিক ৫৭ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৭৯টি এবং কমেছে ৬২টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ২১০টির।

অপরদিকে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন ৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৫৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৪৪টি, কমেছে ৪৫টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৮টির।

এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৬ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ১৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স ৮ দশমিক ৫২ পয়েন্ট ও সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৫ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৪৭ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৬৪ দশমিক ৬০ পয়েন্টে ও ১ হাজার ১৬১ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০