নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহেনা আক্তার গতকাল জানান, দুপুরে আমরা বৈঠকে বসি। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বৈঠক শেষ হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কলেজ বন্ধ থাকবে। সন্ধ্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ত্যাগ করতে হবে।
এর আগে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে সকালে আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
বিবদমান দুটি গ্রুপের এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যপক্ষ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় নাছির গ্রুপের চমেকের ৬১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুল হক ও ৬২তম ব্যাচের নাইমুল ইসলাম আহত হন।
রাতের ঘটনার জের ধরে গতকাল সকাল ৯টায় শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারী আকবর হোসেনকে মারধর করে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। এরপর দুই পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় কয়েক দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিক্ষা উপমন্ত্রীর অনুসারীদের ধাওয়া খেয়ে চমেক প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকে পড়ে আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারীরা। বেলা ১টা পর্যন্ত সেখানেই অবরুদ্ধ ছিল তারা। পরে পুলিশি পাহারায় সেখান থেকে বের হয়ে আসে।
ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সার্জারি বিভাগের প্রফেসর মতিউর রহমানকে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।