Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:37 pm

ছাত্রী শ্লীলতাহানির ঘটনায় যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, যশোর: বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী লোকাল বাসে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবির) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারসহ ৬ দফা দাবিতে টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যশোর-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং জনসাধারণের চলাচল চরমভাবে ব্যাহত হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসন একাধিকবার কথা বলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বিকালে সাড়ে পাঁচঘটিকায় যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ঢাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে সমাধানে আসে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, শ্লীলতাহানির ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে অপরাধীর বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, যশোর-চৌগাছা রুটের সব বাসের চালক এবং হেলপারকে যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে (বিশেষত্ব, নারী ও শিশু), ওই রুটের সব বাসের মধ্যে সামনের সারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখতে হবে। (নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি), ভবিষ্যতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে যশোর-চৌগাছা বাস মালিক সমিতিকে এর পূর্ণ দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যবিপ্রবি ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিবেচনাযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতি ঘণ্টায় শহর থেকে (চাঁচড়া, মনিহার) শাটল বাস সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং অতি দ্রুত এ দাবি কার্যকর করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, শাটল বাস দেয়ার সক্ষমতা এ মুহূর্তে আমাদের নেই। তবে অভিযুক্ত যেখানেই থাকুক তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলোর জন্য যশোর চৌগাছা বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আমরা কথা বলে ব্যবস্থা করব।

গ্রেপ্তারের বিষয়ে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, অভিযুক্তকে আটকের জন্য আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছি।

জান গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকালের বাস মিস করায় ধর্মতলা থেকে ক্যাম্পাসগামী লোকাল বাসে ওঠে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। পথিমধ্যে চূড়ামনকাঠি থেকে মাসুদ নামের এক যুবক ওঠে ওই বাসে এবং ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে। পরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা ঘরে ফিরে যায়। ঘটনার ২৪ ঘটনা অতিক্রম করলেও অপরাধী গ্রেপ্তার না হওয়ায় সোমবার দুপুর ১২টায় আবারও বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।