নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র রাজনীতিকে সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি মেধাবীদের রাজনীতিতে আসার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘তা না হলে রাজনীতি চরিত্রহীনদের হাতে চলে যাবে। তারুণ্যের শক্তিকে রাষ্ট্র নির্মাণের কাজে লাগাতে হবে।’
গতকাল ‘তরুণদের কর্মদক্ষতা ও কর্ম-পরিকল্পনা’ বিষয়ক কর্মশালা জীবনের কর্মশালা নামক অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটি এবং গবেষণা সংস্থা যৌথভাবে দলটির সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম আজ মাদক, সাইবার অপরাধ, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক দিকসহ নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুযোগ-সুবিধা এখন বিশ্বমানের। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তি যেমনি সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে। এর নেতিবাচক দিক থেকে তরুণদের সুরক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে দেশের তরুণ-তরুণীদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে এবং ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকতে চায় আওয়ামী লীগ। যারা এখনও তরুণদের পেট্রোলবোমা, আগুন সন্ত্রাস ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতার পথে ঠেলে দিচ্ছে, তাদেরকে এসব নেতিবাচকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কাদের বলেন, ‘হিজবুল বাহারে’ বিহারের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে অপরাজনীতি শুরু হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সে অপরাজনীতি বন্ধের মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনে স্বস্তি এবং লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে এনেছেন। যুব উন্নয়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জোরদার ও ক্রীড়া চর্চার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধের কাজ করছেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী। শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআইয়ের সদস্যরা এবং শিক্ষা ও মানবসম্পদ-বিষয়ক উপকমিটির সদস্যরা।