ক্রীড়া প্রতিবেদক: অনেক দিন ধরেই সাদা পোশাকে ঠিক নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না ইমরুল কায়েস। যে কারণে বাঁহাতি এ ওপেনারের দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে আবারও দেখা দিয়েছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত কিন্তু সেটাই সত্যি হলো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন মিরপুর টেস্টে নেই তিনি। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, চোটের কারণে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন এ বাঁহাতি। পুরোপুরি চোটমুক্ত না হওয়ায় ফিরতে পারেননি তামিম ইকবালও। এ দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকায় এবার ভাগ্য খুলে গেল সাদমান ইসলামের। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার সৌম্য সরকারের ওপেনিং-সঙ্গী হবেন তিনিই।
সব শেষ ২২ টেস্টে কোনো হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি ইমরুল কায়েস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৪ রানে জেতা প্রথম টেস্টে এ বাঁহাতি করেছিলেন ৪৪ ও ২ রান। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন গতকাল বলেন, ফর্মের জন্য বাদ পড়েননি বাঁহাতি এ ওপেনার। ইমরুল ভুগছেন কাঁধ ও পায়ের অগ্রভাগের চোটে, ‘ওর সেরে উঠতে ১০ দিনের মতো সময় লাগতে পারে। ওকে ওয়ানডে সিরিজের শুরু থেকে পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আশবাদী।’
ইমরুল না থাকায় একদিক দিয়ে সাদমান ইসলামের জন্য ভালোই হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করে চট্টগ্রাম টেস্টের দলে ডাক পাওয়া এ ওপেনার টিকে গেছেন মিরপুর টেস্টেও। বলা যায়, টেস্টে তার অভিষেক অনেকটাই নিশ্চিত।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে সাদমান করেছিলেন ৭৩ রানের ইনিংস। সদ্যসমাপ্ত জাতীয় লিগে ৬৪.৮০ গড়ে সর্বোচ্চ ৬৪৮ রান করেছিলেন এ ওপেনার। এবার লিগে এ তরুণ প্রথম ম্যাচে স্বাদ পেয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম দেড়শ রানের। সেই ১৫৭ রান ছাড়িয়ে পরের ম্যাচেই করেছিলেন ১৮৯। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায় পার হয়ে জাতীয় দলে আসেন সাদমান। ২০১৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১০১.৫০ গড়ে ৪০৬ রান করে হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাদমান ৪২ ম্যাচ খেলে ৭ সেঞ্চুরিতে ৩ হাজার ২৩ রান করেছেন ৪৬.৫০ গড়ে। এবার জাতীয় দলের জার্সিতেও এ ধারাবাহিকতা দেখাতে চান তিনি।
টেস্টে ওপেনিং জুটি নিয়ে অনেক দিন ধরেই ভুগছে বাংলাদেশ। মিরপুর টেস্টে সৌম্য ও সাদমানের ওপর ভর করে সে সমস্যা থেকে এবার বের হতে চায় টিম টাইগার্স।
বাংলাদেশ দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিথুন, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও নাঈম হাসান।
