গভীর রাত, সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোয় প্রযুক্তির ব্যবহার কর্মজীবনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। এই মতামতটি হলো কানাডিয়ান একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের। তারা এই দিনগুলোয়
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা নিজেকে ও পরিবারকে বেশি সময় দিতে পারে এবং ছুটি শেষে ভালোভাবে কাজে মনোযোগী হতে পারে বলে মনে করেন কর্তাব্যক্তিরা। এতে কর্মীদের কর্মদক্ষতাও বাড়ে।
আসক্তি থেকে ফিরতে চাইলে…
আধঘণ্টা পরপর ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস
ব্যবহার যে ক্ষতিকর, তা বিখ্যাত লেখক টিম ফেরিসের সর্বাধিক বিক্রীত বই ‘দ্য ফোর আওয়ার ওয়ার্ক উইক : পর্ব ৯-৫ লিভ আনিহোয়ার অ্যান্ড জয়েন দ্য নিউ রিচ’-এ বলেছেনÑ‘এতে মানুষের সৃজনশীলতা নষ্ট হয়। আমি বিশ্বাস করি সৃষ্টিশীলতার জন্য দরকার অখণ্ড অবসর, যা আধঘণ্টা পরপর ই-মেইল চেক করলে সম্ভব নয়।’
তাই প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার রোধে সৃজনশীলতাকে টিকিয়ে রাখতে মেনে চলতে পারেন কিছু পরামর্শ :
* ফেরিস বলেছেন, ‘যদি প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি থাকে এবং ঘন ঘন ব্যবহার করেন, তবে তা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য কিছু সময় ব্যবহার করা বাদ দেবেন। এতে করে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকাটা সহজ হবে।’
* সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের বাবহƒত প্রযুক্তি বা পার্সোনাল ডিজিটাল অ্যাসিসট্যান্ট ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এতে করে মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যায়।
* দ্রুত কাজে প্রবেশ করার কারণে সকাল ১০টায় ই-মেইল চেক করতে ভুলে যেতে পারেন। তবে দুই ঘণ্টা পরপর ই-মেইল এবং মোবাইল ফোন প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারেন। এতে মনও সতেজ থাকবে।
* সহকর্মীদের সঙ্গে ভালো সময় অতিক্রম করতে হবে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার কমবে ও সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে।
* যেসব ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতি দুর্বলতা আছে, সেগুলো কম ব্যবহার করে পরিবারের সঙ্গে সময় বেশি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।