শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদুল আজহার তিন দিন ও দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে গতকাল রোববার প্রথম কার্যদিবসে জমেনি বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের অফিসপাড়া। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি যেমন কম ছিল, তেমনি সেবাগ্রহীতাও ছিল হাতেগোনা। তবে যারা অফিস করেছেন তারা কুশল বিনিময় করে এবং পরস্পরের খোঁজখবর নিয়ে সময় কাটান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গতকাল চট্টগ্রাম মহানগরের কর্মব্যস্ত এলাকা আগ্রাবাদে ব্যাংক, ব্রোকারেজ হাউজ, করপোরেট প্রতিষ্ঠান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দফতর (সিআরবি), বাংলাদেশ ব্যাংক, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম ওয়াসা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ছিল না। তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ বেশিরভাগ কেপিআই প্রতিষ্ঠানগুলোয় অপারেশনাল কার্যক্রম চালু ছিল পুরোদমে।
অন্যদিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ ভোগ্যপণ্য বাজার ও বাণিজ্যিক এলাকা খাতুনগঞ্জ, আছদগঞ্জ ও চাক্তাইসহ আশপাশের এলাকায় অন্য সাধারণ দিনগুলোর মতো কর্মব্যস্ততা তেমন ছিল না। এসব এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশ কিছু দোকান চালু থাকলেও কোনো ক্রেতা নেই।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সচিব সলিম উল্লাহ শেয়ার বিজকে বলেন, নগরের এখনও ছুটির আমেজ বিরাজ করছে। এখনও খাবারের দোকানগুলো চালু হয়নি। ফলে অফিস চলাকালে খাওয়া-দাওয়া বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যা কয়েক সপ্তাহব্যাপী চলে।
আগ্রাবাদ এলাকায় ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় সেবাগ্রহীতাদের তেমন উপস্থিতি ছিল না। এ প্রসঙ্গে আরএকে ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেয়ার বিজকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুব কমসংখ্যক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কয়েকজন কর্মীও সময়মতো এসে উপস্থিত হতে পারেননি। কয়েক দিনের মধ্যে আগের মতো কর্মময় দিন শুরু হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা অনুমোদিত ছুটি নিয়েছেন তারা বাদে সবাই উপস্থিত ছিলেন।
ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে জমেনি চট্টগ্রামের অফিসপাড়া
