ছয় কোম্পানির প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তালিকাভুক্ত ছয় কোম্পানি। এর মধ্যে ইপিএস বেড়েছে তিনটির, কমেছে দুটির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে বাকি এক কোম্পানির। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে চার টাকা ৯৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল চার টাকা ১৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৭৫ পয়সা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে আট টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল সাত টাকা ১০ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৯২ টাকা ২১ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির এক কোটি ৪৪ লাখ আট হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে এক লাখ ২২ হাজার ৭২৫টি শেয়ার ৩৭৭ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর এক দশমিক ২৭ শতাংশ বা এক টাকা ৫০ পয়সা কমে সর্বশেষ ১১৭ টাকায় হাতবদল হয়। সমাপনী দর ছিল ১১৬ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে ১০৫ টাকা থেকে ১৭৮ টাকা ২০ পয়সায় ওঠানামা করে।
রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস পাঁচ পয়সা কমেছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৯০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৯৩ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৭ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর সময় ছিল ১৪ টাকা ৯২ পয়সা।
লিন্ডে বাংলাদেশ: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৩ টাকা ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস এক টাকা এক পয়সা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৩০ টাকা ৫৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৮ টাকা ২৭ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ২৫৮ টাকা ৫৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২২৭ টাকা ২০ পয়সা।
গতকাল কোম্পানিটির ৫৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে চার হাজার ৭০০টি শেয়ার ১৫৬ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর দশমিক ৯০ শতাংশ বা ১১ টাকা ১০ পয়সা কমে সর্বশেষ এক হাজার ২২১ টাকায় হাতবদল হয়। সমাপনী দর ছিল এক হাজার ২২২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে শেয়ারদর এক হাজার ২২০ টাকা থেকে এক হাজার ২৪৫ টাকায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৭০ টাকায় ওঠানামা করে।
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ২৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ২৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৭২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৭০ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর সময় ছিল ১৭ টাকা ৭২ পয়সা।
ওয়ান ব্যাংক: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৯ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৬৪ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৫৫ পয়সা কমেছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৮১ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় ছিল ১৮ টাকা ৫৫ পয়সা।
পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স: দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে এক টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ইপিএস ছিল ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস ৪১ পয়সা বেড়েছে। দুই প্রান্তিকে অর্থাৎ ছয় মাসে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ২২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৬৫ পয়সা। চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪১ টাকা ৬২ পয়সা, যা আগের বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় ছিল ৪১ টাকা ৭১ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০