নিজস্ব প্রতিবেদক: ছয় হাজার ৪৪৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ১১টি উন্নয়ন প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ছয় হাজার ৪১৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে সাত কোটি ৯৮ লাখ টাকা খরচ করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের যেসব স্থানে তাঁতশিল্প রয়েছে সেগুলোর জন্য প্রকল্প বরাদ্ধ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে জামালপুর, দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, সিলেটের মনিপুর এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাঁতশিল্প বিকাশে প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এলাকায় স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন প্রকল্প। বাংলাদেশে তাঁত বোর্ডের আওতায় পাঁচটি বেসিক সেন্টার পাঁচটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং দুটি মার্কেট প্রমোশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। এছাড়া ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন, সরকারি শিশু পরিবার এবং ছোট মনি নিবাস নির্মাণ-পুনর্নির্মাণ, হাইটেক পার্ক, সিলেটের প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পও অনুমোদন দেওয়া হয়।
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলাধীন পদ্মা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং, সোনাপুর হতে চেয়ারম্যানঘাট সড়ক উন্নয়ন, বীরগঞ্জ-খানসামা-দাড়োয়ানি, খানসামা-রানীবন্দর এবং চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার জেলা মহাসড়কে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ ও কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরীফপুর সড়কের ১৪তম কিলোমিটারে পিসি গার্ডার নির্মাণ ও সাত দশমিক পাঁচ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয় একনেক সভায়।
মন্ত্রী বলেন, অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার কেনা হলে বিদ্যুৎ বিল দিতে আর ঝামেলা থাকবে না। বিদ্যুৎ বিলের টাকা ফুরিয়ে গেলে মোবাইলেই সংকেত বেজে উঠবে। বিদ্যুতের লোড ও কন্ট্রোল করা যাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বর্তমানে পোস্টপেইড মিটারিং সিস্টেমে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে। এর ফলে গ্রাহক ও সংস্থা উভয়ই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। কিন্তু অনলাইন প্রি-পেমেন্ট মিটারিংয়ের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে সহজেই। ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্রাহক সেবার মান, লোড ব্যবস্থাপনা, রাজস্ব আদায় অধিকতর উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করে সরকার।
ডেসকোর আওতায় পর্যায়ক্রমে মোট ১০ লাখ ৫০ হাজার অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন করা হবে। এরইমধ্যে দুই লাখ ৩০ হাজার মিটার সংগ্রহ করা হয়েছে। নতুন করে দুই লাখ মিটার সংগ্রহ করা হবে। এলাকাগুলো হলো- মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, কাফরুল, শাহআলী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান, বনানী, বারিধারা, বাড্ডা, উত্তরা, উত্তরখান ও দক্ষিণখান। এছাড়া গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা প্রকল্পের আওতায় রয়েছে।
‘ডেসকো এলাকায় অনলাইন স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার সরবরাহ ও স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

Print Date & Time : 27 June 2025 Friday 5:49 pm
ছয় হাজার ৪৪৮ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে
পত্রিকা ♦ প্রকাশ: