জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার নীতি অনুসরণ করে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। একই সঙ্গে তিনি সরকারি দফতরে না এসেই জনগণ যাতে সহজে তথ্য সেবা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা বার্তা’ এর তৃতীয় সংখ্যার মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব এসব নির্দেশনা দেন। একই অনুষ্ঠানে এনপিও’র ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৭-১৮’ এর মোড়কও উম্মোচন করা হয়।
ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) পরিচালক এসএম আশরাফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দফতর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, করদাতা হিসেবে জনগণ সরকারি তথ্য জানার অধিকার রাখেন। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে তথ্য অধিকার আইন পাস, তথ্য কমিশন গঠনসহ নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ অবারিত করতেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সরকারের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন, নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন, প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সহজ হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসব তথ্য ব্যবহার করে উন্নয়নের গতিধারা মূল্যায়নে সক্ষম হচ্ছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতেও অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাত বিকাশে কার্যকর সেবাদান শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে তথ্য সেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সেবাগ্রহীতারা কোনো ধরনের সেবা কতদিনে পাবেন-সে সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে সেবা প্রদানের সময়সীমা নিয়ে সংস্থাভিত্তিক প্রচার চালাতে হবে। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব করপোরেশন ও সংস্থাকে নিজেদের সেবা প্রদানের পদ্ধতি ও সময়সীমা সম্পর্কে প্রচার জোরদারের তাগিদ দেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতাবিষয়ক ধারণা প্রসার এবং উৎপাদশীলতা আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা বার্তা’ প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরা হচ্ছে। পাশাপাশি উৎপাদনশীলতাবিষয়ক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল এবং নিবন্ধ প্রকাশ করা হচ্ছে। এর ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়ার সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা উৎপাদনশীলতা উন্নয়নের প্রয়াসে সামিল হচ্ছেন।