সাইফুল আলম, চট্টগ্রাম: খাতুনগঞ্জ এলাকার হামিদউল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ফরহাদ ট্রেডিং। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকার নূর হোসেন। ব্যবসার প্রয়োজনে ঋণ সুবিধা নেন জনতা ব্যাংক লিমিটেড থেকে। নিয়মিত পাওনা পরিশোধ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ে এ ঋণগ্রহীতা। সব মিলিয়ে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ শাখার খেলাপি পাওনা চার কোটি ২২ লাখ পাঁচ হাজার ৭৭৫ টাকা। আর খেলাপি পাওনা আদায়ে ব্যাংক নিলামে বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে।
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের খাতুনগঞ্জ শাখা সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া ইছাখালী এলাকার বাসিন্দা নূর হোসেন খাতুনগঞ্জ এলাকার হামিদউল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পাইকারি ব্যবসায়ী। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ফরহাদ ট্রেডিং ব্যবসার প্রয়োজনে ঋণ সুবিধা নেয় জনতা ব্যাংক থেকে। নিয়মিত পাওনা পরিশোধ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অনিয়মিত হয়ে পড়েন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবমিলিয়ে ব্যাংকটির খাতুনগঞ্জ শাখার খেলাপি পাওনা চার কোটি ২২ লাখ পাঁচ হাজার ৭৭৫ টাকা। আর এ ঋণের বিপরীত ব্যাংকটির কাছে বন্ধকিতে রয়েছে হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ মৌজায় সাড়ে ৭০ শকত জমি। এদিকে পাওনা আদায়ে আগামী ২৮ অক্টোবর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এসব বন্ধকি সম্পত্তি নিলামে বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। এতে আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান আইন অনুসারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ এলাকার হামিদউল্লাহ বাজারের পেঁয়াজ, রসুন ও আদার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ফরহাদ ট্রেডিং। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকার নূর হোসেন। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়। পাশের কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে ফরহাদ ট্রেডিং সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, নুর হোসেনের ব্যবসা খারাপ যাচ্ছে। তাই মাঝে মাঝে দোকান খোলা থাকে, আবার মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। শুনেছি ব্যাংকঋণ নিয়ে ঝামেলায় আছে। তবে তিনি খুব কম আসেন।
এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক লিমিটেড খাতুনগঞ্জ করপোরেট শাখার ব্যবস্থাপক দিল মোহাম্মদ বলেন, আসলে করোনার কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ। এ কারণে সরকার ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দিচ্ছে। তিনিও চেষ্টা করছেন। আর আমাদের ঋণের বিপরীতে বন্ধকি ভালো আছে। আশা করছি তিনি ঋণ পরিশোধ করবেন।
অন্যদিকে ফরহাদ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকার নূর হোসেনের ব্যবহƒত মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও সংযোগটি বন্ধ পাওয়া য়ায়। এছাড়া গত সপ্তাহে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হলেও ফরহাদ ট্রেডিং বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।