নাটোরের সিংড়ায় খাঁচায় মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চাষের মাধ্যমে অনেকের জীবনে এসেছে সফলতার আলো। সেইসঙ্গে অল্প খরচ ও অল্প শ্রমে খাঁচায় মৎস্য চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নদী তীরবর্তী বেকার যুবকদের মাঝে।
সরেজমিনে দেখা যায়, গুরনই নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা হয়েছে। ৩৪টি ড্রামে পানিতে মাছের আবাসস্থল করা হয়েছে। ১৬টি খাঁচায় রয়েছে ১৬ হাজার পোনা। প্রত্যেকটি খাঁচায় লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা আছে, যেন রাতের বেলা মাছ সহজে পোকামাকড় খেতে পারে। আলো-বাতাস সবকিছু সঠিকভাবে পাওয়ার কারণে মাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠেছে।
খাঁচায় মাছ চাষ করে ভাগ্য বদল করেছেন সিংড়ার নিংগইন গ্রামের মো. শামসুল হকের ছেলে নাসিমুজ্জামান সজীব। তার দেখানো পথে এখন হাঁটছেন অনেকে। সজীব জানান, টেলিভিশনে কৃষি প্রতিবেদন দেখে এলাকায় মাছ চাষ করার জন্য সরঞ্জাম সংগ্রহে নামি। এরপর খাঁচা তৈরি করি। প্রথমে ছয়টি খাঁচা তৈরি করতে ৯০ হাজার টাকা লেগেছিল। পরে আরও ১০টি খাঁচা তৈরি করি। অথচ বর্গা নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করতে প্রায় চার লাখ টাকা প্রয়োজন। প্রতিদিন দুবার খাবার দিতে হয়। মাছ রাতে পোকামাকড় খেয়ে থাকে, তাই অতিরিক্তি খাবারের প্রয়োজন হয় না। তিনি আরও জানান, তেলাপিয়া মাছ ছেড়েছিলাম। গত ১০০ দিনে মাছ ৬০০ গ্রাম হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এ পদ্ধতি দেখে খুশি হয়েছেন। তিনি দু’লাখ টাকা সরকারিভাবে বরাদ্দের ব্যবস্থা করেছেন।
সিংড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ওমর আলী জানান, এ পদ্ধতি খুব ভালো। খরচ কম। তাই বেকাররা এর প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।
তাপস কুমার, নাটোর