জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন

মাছুম বিল্লাহ ভূঞা: স্বাস্থ্য হচ্ছে একটি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং সর্বোপরি একটি মৌলিক মানবাধিকার। আমাদের উন্নততর পৃথিবীর ধারণার প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সমতা, পরিবেশগতভাবে স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন ও শান্তি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির তথা উন্নতির অন্যতম উপাদান হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। জনস্বাস্থ্যকে বাদ দিয়ে টেকসই (স্থায়িত্বশীল) উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার এবং সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মানব উন্নয়নের সূচক।

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল বলা হয়ে থাকে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিতেও আছে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে অনেকে বলে থাকেন। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার ফলে বাস্তবে দেখা যায়, মানুষের গড় সঙ্গে অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যু যে কয়েকশ’ গুণ বেড়েছে, তা হাতেগোনা অল্পসংখ্যক মানুষই বলছেন। নাগরিকের সুস্বাস্থ্যের অভাবে দেশের উৎপাদনশীলতা কমে, কমে যায় উন্নয়নের গতি। জনগণ রাষ্ট্রের জন্য সম্পদ। নিরাপদ বিষমুক্ত খাদ্যের জোগান নিশ্চিত না করা, সুপেয় বিশুদ্ধ পানির সংকট, বিশুদ্ধ বায়ুর অভাব, শব্দদূষণ, জলাধার ও জলজ পরিবেশ ধ্বংস এবং সাবাড় করা ইত্যাদি কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। রোগ প্রতিরোধকে প্রাধান্য দেয়ার ফলে উপরিউক্ত সব বিষয়বস্তুর অভাবের কারণে আমরা চিকিৎসানির্ভর হয়ে পড়েছি।

১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়, যা এখন থেকে ৭৩ বছর পূর্বে। স্বাস্থ্য হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতার একটি অবস্থা, কেবল রোগ বা দুর্বলতার অনুপস্থিতি নয়। ১৯৮৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেন, ‘স্বাস্থ্য দৈনন্দিন জীবনের একটি সম্পদ, এটা বেঁচে থাকার কোনো উদ্দেশ্য নয়। সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে স্বাস্থ্য একটি ইতিবাচক ধারণা, যা শারীরিক ক্ষমতা অর্জনে উদ্বুদ্ধ করে।’ অর্থাৎ একটি বৃহত্তর সমাজে একজন ব্যক্তির অবস্থান অনেকাংশেই তার স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভরশীল।

বর্তমানে বাংলাদেশে তামাক সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ, সুপেয় পানির সংকট, বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা ব্যয়  মেটাতে গিয়ে একদিকে যেমন রাষ্ট্র হিমশিম খাচ্ছে, অন্যদিকে এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮৬ লাখের বেশি মানুষের দারিদ্র্য বেড়ে যাচ্ছে। ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ১৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসাসেবা নেয়া থেকে বিরত থাকে; যা রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

বাংলাদেশে আলোচনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উন্নয়নের বিষয়টি আলোচনায় ততটা গুরুত্ব পায় না, যতটা গুরুত্ব পায় চিকিৎসা বিষয়টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জন করতে হলে তা হতে হবে বৈষম্যমুক্ত, কাউকে পেছনে রাখা যাবে না। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও রাষ্ট্র সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ খাদ্য, সুপেয় পানি, নির্মল বায়ুর জোগান নিশ্চিত করতে পারেনি। এতেই বুঝা যায়, রাষ্ট্র বেশিরভাগ মানুষকে কতটা পেছনে ফেলে রাখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর্থিক নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমাদের দেশে খাদ্য ও পানি নাগরিককে অর্থ দিয়ে মূল্যের বিনিময়ে ক্রয় করতে হয়, যদিও তা বিষমুক্ত ও সুপেয় না হওয়ার কারণে নাগরিকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে।

বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষও যাতে খুব সহজে চিকিৎসাসেবা পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে ২৩ নভেম্বর ২০২১ সরকার ডিজিটাল হেলথ কার্ড বা স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র চালু করেছে; যা মূলক চিকিৎসা সেবা কার্ডে। ২০২১ সালে দেশের ৯ উপজেলার ১২ লাখ মানুষ আর ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের তিন কোটি মানুষ এই কার্ড পাওয়ার কথা। কিন্তু এতে বুঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশে কত বিশালসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন, না হলে চিকিৎসা কার্ড লাগবে কেন? এটাই বড় প্রশ্ন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশে বেশির ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে নানা রকম অসংক্রামক রোগে। অসংক্রামক রোগ সমূহ হচ্ছে জীবন-যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত রোগ। অসংক্রামক ব্যাধি মূলত মানুষের তৈরি। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের ফলে এসব রোগ হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী এসব রোগের আক্রান্ত হলে চিকিৎসা খরচও বেশি। অথচ চাইলে এসব রোগ এড়ানো যায়। জীবনযাপনের প্রণালি ও খাদ্যভ্যাসের পরিবর্তন এনে চাইলে মানুষ এসব রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে পারে। মানুষকে এসব রোগের কারণ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

প্রতি বছর আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষের অসুস্থতা ও অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী তামাকজাত পণ্য ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ ইত্যাদি কারণে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত্র হওয়া। বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতি বছর (প্রায়) ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে। ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর একটি। অতিমাত্রায় দূষণের কারণ ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া; বিশেষ করে মানুষের ব্যক্তিগত গাড়িতে জীবাশ্ম জ্বালানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার বৃদ্ধি, ঢাকা নগরী দীর্ঘদিন ধরেই বাতাসে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশ মূলত ২০১৮ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ুদূষণ একটি নীরব প্রাণ-ঘাতক। বায়ুদূষণের কারণে ২৭ শতাংশ মানুষ ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। এ ছাড়াও দূষিত বায়ু হƒদরোগের জন্য ২৫ শতাংশ, শ্বাসকষ্টজনিত রোগের জন্য ৪৩ শতাংশ দায়ী। সবচেয়ে ভয়ংকর তথ্য এই যে, বায়ুদূষণের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ মানুষের অকাল মৃত্যু হচ্ছে।

তাছাড়া অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ অসংক্রামক (ডায়াবেটিক, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, স্থূলতা ইত্যাদি) রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যে কারণে জনস্বাস্থ্য আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ, তামাকজাত পণ্য ব্যবহার, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণের কারণে সার্বিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত হচ্ছে। হেলথ ইকোনমিকস ইউনিটের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। মানুষের মাথাপিছু বার্ষিক চিকিৎসা ব্যয় এখন ২৭ মার্কিন ডলার (দুই হাজার ১৬০ টাকা); যা ২০০৭ সালে ছিল ১৬ মার্কিন ডলার (এক হাজার ২৮০ টাকা)।

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উন্নয়ন ধারণার ব্যাপকতা ও গভীরতা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয়। তাই অনেকের ভ্রান্ত ধারণার কারণে চিকিৎসাসেবাকে স্বাস্থ্যসেবা মনে করেন। বাস্তবে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে না, কিছু মানুষ যে সেবা পাচ্ছে, তা হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। সেটার মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা কি না, অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছেÑপাচ্ছে না। অনেকে চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের তথ্য মতে, বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ৮৬ লাখের বেশি মানুষের দারিদ্র্য বেড়ে যাচ্ছে। ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে ১৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসাসেবা নেয়া থেকে বিরত থাকে।

২০১২ সালে ব্যক্তির ব্যয় ছিল ৬০ শতাংশ। ২০৩২ সালে তা কমিয়ে ৩২ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অথচ এখন ব্যয় হচ্ছে ৬৭ শতাংশ। এই বিশাল পরিমাণ চিকিৎসা ব্যয় ব্যক্তির জন্য বোঝা, রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রতিবন্ধকও বটে।

বাংলাদেশের জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির উদ্দেশ্য, সকল নাগরিকের জন্য স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ও সীমিতকরণের জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, বিপর্যয়কর চিকিৎসা ব্যয় হতে জনগণকে সুরক্ষা দেয়া। যেহেতু উপরোল্লিখিত কারণে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে গেছে, যা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই কল্যাণ রাষ্ট্রের উচিত ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এই মৌলিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রোগ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।

১৯৭৮ সালে আলমা-আতা ঘোষণায় বিশ্বের সকল মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সরকারকে স্বাস্থ্য উন্নয়নে দ্রুত জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়। দুর্ভাগ্যবশত সেই স্বপ্ন এখনও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে আমাদের জনগণের স্বাস্থ্যের অবস্থা আজও আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে এটা দেখা গেছে, জনস্বাস্থ্যের অবস্থা আরও বেশি অবনতি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে যত অর্থ ব্যয় করা হয়, তার অংশ বিশেষও যদি স্বাস্থ্য খাতে (যেমন নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, তামাক ও অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ন্ত্রণ এবং রোগপ্রতিরোধের জন্য ব্যয়) করা হয়, তাহলে সবার জন্য স্বাস্থ্য গ্রহণযোগ্য মাত্রায় উন্নতি করা সম্ভব হবে।

রোগের প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। তাই জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের মূলকারণগুলো চিহ্নিত করে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করবে। অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণগুলোকে চিহ্নিত করে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার সময় এখনই। এই প্রতিষ্ঠানটি তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, নিরাপদ বিষমুক্ত খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, সুপেয় পানির সংকট দূরীকরণে, বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে অধিকত্বর গুরুত্ব  দেবে। তখন মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে আসবে।

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। এ জন্যই মানবসম্পদ বলা হয়ে থাকে। অসুস্থ মানুষ রাষ্ট্রের সম্পদ না হয়ে বোঝায় রূপান্তরিত হয়। অসুস্থ মানুষ পরিবারের জন্য শুধু বোঝাই নয়, রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধকও বটে। মানবকে সম্পদ হিসেবে গণ্য করে, স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সারা পৃথিবীতে বেশ কিছু দেশে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন নামে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করেছে। অর্থাৎ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের কথা মাথা রেখে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন কাজ করে চলছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় থাই হেলথ ফাউন্ডেশন, অস্ট্রেলিয়ান, শ্রীলংকান ইত্যাদি। ওই প্রতিষ্ঠান রোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন সারা পৃথিবীতে ইতোমধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

রোগ প্রতিরোধের দিকে এখনই সুদৃষ্টি না দিলে, ২০৫০ সালে বাংলাদেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত থাকবে, তখন ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে অক্ষম উক্ত বিশালসংখ্যক মানুষের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে রাষ্ট্র মহাসংকটে পড়বে। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের জনস্বাস্থ্য ও জনজীবন সুরক্ষার দিকে সুদৃষ্টি দেয়ার সময় এখনই। 

আইনজীবী

masumbillahlaw06@gmail.com

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০